কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী ২ দিনের সফরে পা রাখেন শনিবার বিকেলে। বিমান থেকে নামতেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ফুল দিয়ে স্বাগত জানানোর সময় ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছুটা হাল্কাছলে কথাও হয়।
প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজভবন পৌঁছনোর আগেই সেখানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনে দুজনের সাক্ষাৎ হয়। প্রায় ১৫ মিনিট দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়। তার আগে কিছুটা হাল্কাছলে কথাবার্তাও হয়। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হন। সেখানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়িয়েছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এলেও তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আদৌ দেখা করবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল অনেকের মধ্যে। তবে কলকাতার মেয়রের প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো ও পরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ঘিরে বিরোধীরা কিন্তু অন্য কথা বলছে। বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের দাবি সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখে বিরোধিতা করলেও পুরোটাই হচ্ছে বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগসাজশের ফল।