কালো রঙের ক্যানভাসের ওপর ফুটে উঠছে একের পর এক তুলির টান। নানা রংয়ের ব্যবহার হচ্ছে। প্যালেট থেকে তুলি তুলে নিচ্ছে মন পছন্দ রং। তারপর তা লেপ্টে যাচ্ছে ক্যানভাসে। কে নেই সেই তুলির টানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুভাপ্রসন্ন থেকে যোগেন চৌধুরী, এক এক মানুষের হাতে তুলি। এক এক ভাবনা তাঁদের মনে। তবে সকলের জন্য বিষয় একটিই। সিএএ, এনআরসি বিরোধিতা। যা ভিন্ন আঙ্গিকে চিত্রকরদের সৃষ্টিশীলতায় ফুটে উঠল।
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মঙ্গলবার এমনই এক ভিন্ন অঙ্কন ক্ষেত্র গড়ে উঠল। যেখানে একত্র হলেন রাজ্যের ৪২ জন প্রথমসারির চিত্রকর। অনেকেই খ্যাতনামা। তাঁদের তুলি কথা বলে। এদিনও বলল। ক্যানভাস জুড়ে ফুটে উঠল প্রতিবাদ। এনআরসি-সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ছবি প্রতিটি ক্যানভাসেই আলাদা। কিন্তু ভাবনা একটাই। মূল বিন্দুটা এক। এঁদের সঙ্গেই এদিন তুলির টানে বিরোধিতার সুর গেঁথে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।
এসব ছবি এদিন ক্যানভাস বন্দি হওয়ার পর এবার পাড়ি দেবে রাজ্যের কোণায় কোণায়। সেখানে প্রদর্শিত হবে ছবিগুলি। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আলোচনা চাইতেই পারেন। গণতন্ত্রে আলোচনাও হতে পারে। কিন্তু তার আগে এনআরসি ও সিএএ প্রত্যাহার করতে হবে। তারপরই আলোচনা সম্ভব। এদিন ক্যানভাসের মধ্যে দিয়ে অন্য এক আঙ্গিকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করলেন তিনি।