মেঘের চাদরটা বুধবারের থেকেও বৃহস্পতিবার সকালে ছিল পুরু। আর তা যত সময় যাচ্ছিল ততই আরও পুরু হচ্ছিল। আকাশ কালো করে আসছিল। বোঝাই যাচ্ছিল যখন তখন নামতে পারে বারিধারা। বৃহস্পতিবার সকালে অনেক পরিবারেই সরস্বতী পুজো হয়েছে। আবার বেলা বাড়লে অনেক পরিবারে শীতল ষষ্ঠীর আয়োজন হয়েছিল। এটাই চিরন্তন রীতি। রীতি মেনে ষষ্ঠী পুজোর পর গোটা সিদ্ধ খাওয়া হয়। সেসব আয়োজনের মধ্যেই ক্রমশ কালো হতে থাকা আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে।
মাঘের মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে এমন বৃষ্টি কেউ বড় একটা দেখেননি। সরস্বতী পুজোর আশপাশে একটা বৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে মাঝারি মাপের বৃষ্টি। এদিন কিন্তু রীতিমত মেঘ গর্জে বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় তা চলেছে ৪৫ মিনিট, কোথাও ৩০, কোথাও ২০ মিনিট। তবে যতক্ষণ বৃষ্টি হয়েছে ততক্ষণ বৃষ্টি হয়েছে প্রবল ঝেঁপে। যার ফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে শহর কলকাতা।
শীতের দিনে কলকাতার রাস্তার বানভাসি রূপ শেষ কবে দেখা গেছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। তবে এদিন দেখা গেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ অনেক রাস্তাতেই এদিন জল দাঁড়িয়ে যায়। জল ভেঙেই যেতে হয়েছে মানুষকে। অনেক মণ্ডপেই সরস্বতীর মাথার ওপর তেমন আচ্ছাদনের বন্দোবস্ত থাকেনা। এদিন যে বৃষ্টি হয়েছে তা থেকে প্রতিমাকে বাঁচাতে তাই দেখা গেছে প্লাস্টিকের প্যাকেটে ঢাকা পড়েছেন সরস্বতী। বৃষ্টির জন্য সরস্বতীকে বড় একটা প্যাকেটে ঢাকা পড়তে হয়না।