দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএএ, এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ ও হস্টেলে তাণ্ডবের ঘটনাকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে ছড়ায় জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের নাম। রাতের অন্ধকারে হস্টেলে হামলার দিন তিনিও আঘাত পান। সেই ঐশী ঘোষ ক্রমে বাম ছাত্র আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে সামনে রেখেই এক বিশাল মিছিল বার হল কলকাতার রাস্তায়। এনআরসি, সিএএ, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে নাগরিক মিছিলে পা মেলালেন হাজার হাজার মানুষ।
বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মিটিং করতে দেওয়া হয়নি ঐশী ঘোষকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দিয়ে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে মিটিং করেন ঐশী। বক্তব্য শেষে কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের সামনে ছিলেন ঐশী ঘোষ। এদিনের নাগরিক মিছিলে যোগ দেন তরুণ মজুমদার, অনীক দত্তের মত মানুষ। আবার পা মেলান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্ররা। মিছিল বিকেলের আলো মেখে যতই এগিয়েছে ততই যেন মিছিল বহরে বেড়েছে।
শ্যামবাজারে শেষ হয় মিছিল। মিছিল সন্ধে নামার পর শেষ হয়। পথে বহু মানুষ জমা হন। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিধান সরণি। যার প্রভাব অফিস টাইমে গিয়ে পড়ে অন্য রাস্তায়। এমনিতেই টালা ব্রিজ ভাঙাকে সামনে রেখে উত্তর কলকাতার বাস চলাচল করছে অন্য পথে। তারমধ্যে এদিনের মিছিল কিন্তু কিছুটা হলেও যানবাহন চলাচলের পরিস্থিতি আরও খারাপ ও জটিল করল।