যাঁরা তাকে চিনতেন তাঁদের শোক ভাষায় প্রকাশ করার নয়। কিন্তু যে আপামর মানুষ তার কথা শুনেছিলেন। খবরে তার অবস্থার কথা জানছিলেন তাঁরাও খবরটা শোনার পর বেশ কিছুটা সময় বাকরুদ্ধ হয়ে যান। কেউ মনে মনে ক্ষুব্ধ হন, কারও গলা আসে ধরে। পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার পর ঋষভ ও দিব্যাংশু নামে ২ পড়ুয়াকে অচেতন অবস্থায় কাদা জল থেকে উদ্ধার করে গ্রিন করিডর বানিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই ৮ দিন জীবন মৃত্যুর মাঝে লড়াই করেছে ঋষভ। অবশেষে চিকিৎসকদের এত চেষ্টার পরও শনিবার ভোরে মৃত্যু হয় ঋষভের।
ঋষভকে বাঁচাতে না পারলেও চিকিৎসকেরা দিব্যাংশুকে বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দিব্যাংশু এখন চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে তাকে সুস্থ করে তোলা নিয়ে চিকিৎসকেরাও আশাবাদী। দিব্যাংশুকে ভেন্টিলেশন থেকেও বার করে আনার কথা মাথায় রাখছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার তো বটেই, গোটা রাজ্যের মানুষ চাইছেন ঋষভকে হারাতে হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠুক দিব্যাংশু। ফিরে আসুক স্বাভাবিক জীবনে।
ঋষভের মৃত্যু কিন্তু ফের একবার রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা পুলকার ব্যবসার ভয়ংকর পরিস্থিতিকে সামনে এনে দিল। অনেক ক্ষেত্রেই না গাড়ির হাল ভাল থাকে, না চালক যথেষ্ট দক্ষ হন। এমনও দেখা যায় চালকের দায়িত্বজ্ঞানের অভাব রয়েছে। এতগুলো শিশুকে তাদের পরিবার ওই চালকের ভরসাতেই স্কুলে পাঠাচ্ছে। অথচ তাঁরা খেয়ালখুশি মত গতিতে গাড়ি চালান। গাড়ির চাকার হাল বেহাল থাকে অনেক পুলকারের। কিছু পুলকারকে দেখেই বোঝা যায় সেগুলি চালানোর আগে হয়তো ভাল করে তার দেখভাল হওয়া দরকার। কিন্তু খরচ বাঁচাতে এবং অতিরিক্ত মুনাফার নেশায় পুলকার চালকরা তা এড়িয়ে চালিয়ে যান ঝুঁকির যাত্রা।