দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যে ঘটনা শনিবার ঘটল তা বিরলতম। বন্দিদের ২টি পক্ষের মধ্যে যেমন সংঘর্ষ বাধে, তেমনই বন্দিরা জেলের কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথরবর্ষণ শুরু করে। জেলের একটা অংশ আগুনে জ্বলতে থাকে। কে বা কারা এই আগুন লাগাল তা পরিস্কার না হলেও ধোঁয়ায় চারধার ঢেকে যায়। তারমধ্যেই শুরু হয় সংশোধনাগারের দেওয়াল ভাঙার চেষ্টা। দেওয়াল ভাঙার ফলে কিছু জায়গা খসে যেসব ইট মেলে সেগুলিই নিয়েই পুলিশের দিকে ছুঁড়তে থাকা বন্দিরা। বন্দিদের ছোঁড়া ইটে আঘাত পান জেলকর্মী থেকে জেলের আধিকারিকরা।
বন্দিরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। তাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদিকে বন্দিরা এরমধ্যেই তাদের দেওয়া কম্বল ব্যবহার করে বানানো দড়ি জেলের পাঁচিল দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। যা রুখে দেয় পুলিশ। দমদম সংশোধনাগারে এই কাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশের বিশাল বাহিনী হাজির হয়। হাজির হয় কমব্যাট ফোর্স। এদিকে জেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন হাজির হয়। হাজির হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
জানা গেছে, করোনার কথা মাথায় রেখে বন্দিদের সঙ্গে তাদের বাড়ির লোকের দেখা করা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছিলই। তাছাড়া বিচারাধীন বন্দিদের সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের একটা চাপা মন কষাকষি চলছিল। তারমধ্যে আবার আদালত বন্ধ থাকায় জামিন হচ্ছিল না। ফলে সে নিয়েও অসন্তোষ জমা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে এদিন হুলস্থূল কাণ্ড শুরু হয়।