রবিবার জনতা কার্ফুর জেরে সব তো বন্ধই। সোমবার সকালে সেই পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেলেও বিকেল থেকে যে কে সেই ছবি ফের নজর কাড়বে। চারদিকে সব কিছু বন্ধ থাকবে। রাস্তা থাকবে সুনসান। বিকেল ৫টা থেকে শুরু হবে লকডাউন। এই অবস্থা আগামী ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত বজায় থাকবে। তারপর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবে রাজ্য সরকার। করোনা ভাইরাসের চেনকে ভাঙতেই এই সিদ্ধান্ত।
সারা দেশের ৭৫টি জেলায় এই লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাইলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার আপাতত এই রাজ্যে ২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা বজায় রাখছে। এখানে মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি কাজ করছে যে লকডাউনের মধ্যে আদৌ কী জিনিসপত্র তাঁরা পাবেন। যানবাহন বন্ধ থাকবে। ট্রেন, মেট্রো রেল বন্ধ থাকবে বটে কিন্তু জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। খোলা থাকবে কাঁচাবাজার, মাছ, মাংসের দোকান। রেশন দোকানও খোলা থাকবে। ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। খোলা থাকবে দুধের সরবরাহ। এমনকি খাদ্যসামগ্রি নিয়ে যাতায়াত করা যানও এই লকডাউনের আওতায় থাকছে না।
রেল মন্ত্রক রবিবার বৈঠক করে আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে সারা দেশ জুড়ে কোনও দূরপাল্লা বা লোকাল ট্রেন চালানো হবে না। ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোনও ট্রেন চলবে না। এ সব বন্ধ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সফল করতে পারলে করোনার চেন ভেঙে দেওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ফলে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কিছু জিনিসপত্র মানুষ কিনে বাড়িতে মজুত করে ফেলতে পারবেন। এদিকে লকডাউনের আওতা থেকে বাদ থাকছে এটিএম পরিষেবা ও ব্যাঙ্ক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা