প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময়ই জানিয়ে দিয়েছিলেন জনতা কার্ফুর দিন বিকেল ঠিক ৫টার সময় দেশবাসী নিজের নিজের বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাতের কাছে যা পাবেন তা বাজাবেন। বাড়ির বাসন হোক বা বাঁশি হোক বা অন্য যা পাবেন। এর মাধ্যমে এই করোনার সঙ্গে লড়াই করতে যাঁরা অত্যাবশ্যকীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও এই পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের সম্মান জানানোর আবেদন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন ঠিক বিকেল ৫টা বাজতেই শুরু হয় বাড়ি বাড়ি থেকে কাঁসর ঘণ্টার আওয়াজ। শঙ্খধ্বনি হতে থাকে। বাঁশি বাজতে থাকে। এমনকি কোথাও কোথাও পটকাও ফাটানো হয়। অনেক জায়গায় মানুষজন রাস্তায় নেমে আসেন। একসঙ্গে কাঁসর, ঘণ্টা, থালাবাসন বাজানোয় শামিল হন। যদিও সেক্ষেত্রে নতুন করে একটা ছোট হলেও জমায়েত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
রবিবার বিকেল ৫টায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সস্ত্রীক রাজভবনের সিঁড়ির সামনে এসে হাততালি দিয়ে স্যালুট জানান। তাঁর স্ত্রী ঘণ্টা বাজান। পাশে বাজতে থাকে ড্রাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন স্টেটসম্যানের মতই কাজ করেছেন। এদিন এই সম্মান প্রদর্শন ৫ মিনিটের জন্য করার কথা প্রধানমন্ত্রী বলেন ঠিকই, তবে তা চলে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট।