পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। দমদমের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের এদিন মৃত্যু হয়। তিনি করোনায় কাবু ছিলেন। প্রবল শ্বাসকষ্ট থাকায় ভর্তি ছিলেন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। অবশেষে সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ রাজ্যে ৭ জন করোনার শিকারের ১ জন ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ওই প্রৌঢ়ের দ্রুত শেষকৃত্যের বন্দোবস্ত করা হয়।
দমদমের বাসিন্দা ওই করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ় গত ১৩ মার্চ থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। ১৬ মার্চ তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৭ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তির উপসর্গ দেখে পরে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে নমুনা যায় নাইসেড-এ। সেখানে পরীক্ষা হয়। রিপোর্টে করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়ে। রাজ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ করোনা আক্রান্ত।
প্রথম ৩ জন বিদেশ থেকে ফেরেন। ৩ জনই তরুণ-তরণী। ২ জন ফেরেন লন্ডন থেকে। ১ জন স্কটল্যান্ড থেকে। কিন্তু দমদমের প্রৌঢ় কোনওদিন বিদেশেই যাননি। অন্য যে ৩ জন করোনায় কাবু তাঁদের করোনা সংক্রমিত হয় বালিগঞ্জের তরুণের থেকেই। ওই তরুণের বাবা, মা ও বাড়ির পরিচারিকার করোনা ধরা পড়েছে।
সোমবার যে প্রৌঢ় করোনায় মারা গেলেন তিনি রেলের কর্মী ছিলেন। ওই প্রৌঢ় নিজে তো কখনও বিদেশ যানইনি, তাঁর পরিবারের কেউও বিদেশে যাননি। তাঁর কীভাবে করোনা সংক্রমণ হল তা ভাবাচ্ছিল সকলকে। তাঁর মৃত্যু হল কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলাসদর যখন লকডাউনে গেল সেদিন। তাঁকে নিয়ে ভারতে করোনায় মৃত্যু ৮ জনে গিয়ে ঠেকল।