রবিবার ছিল জনতা কার্ফু। ফলে দোকান বাজার করতে বার হননি মানুষ। সোমবার সকালে বাজারগুলিতে ছিল প্রবল ভিড়। সরকার আশ্বস্ত করতেও অনেকেই বুঝে উঠতে পারছিলেননা লকডাউন শুরুর পর কীভাবে তাঁরা জিনিসপত্র পাবেন। ফলে সোমবার একটা প্যানিক পারচেজ নজর কাড়ে। বেশ কিছুদিনের খাবার বাড়িতে মজুত করে ফেলেন সকলে। সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয় লকডাউন। তবে কাঁচাবাজার, মুদি, মাছ, মাংসের দোকান খোলা রাখা হবে বলেই জানানো হয়েছিল। সেইমত লকডাউনের মধ্যেই মঙ্গলবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনের সকালে বাজারের থলি হাতে বাজারে পৌঁছলেন মানুষ।
পাওয়া যাবে কিনা ঠিক নেই। এমন একটা ভাবনা থেকে গত শনিবার ও সোমবার প্রচুর জিনিসপত্র বাড়িতে মজুত করে ফেলেছেন মানুষজন। তাই মঙ্গলবার বাজারে সেই ভিড়টা ছিলনা। তবে কাঁচা আনাজ বা মাছ, মাংস পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ক্রেতাও নজরে পড়ে। বাজার করতে আসা মানুষজন নিজেদের কিছুটা কাছাকাছিও এসে পড়েন। সেটা কিন্তু মানা করা হয়েছে করোনা মোকাবিলায়।
রাস্তাঘাট কিন্তু ছিল সুনসান। কোথাও কোথাও কিছু মানুষের দেখা মিললেও প্রধানত রাস্তা ফাঁকাই ছিল। গাড়ি প্রায় ছিলনা। কিছু জায়গায় সাইকেল নজরে পড়েছে। পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। অনেক জায়গাতেই সকাল থেকে পুলিশ টহল দিয়েছে। পুলিশকর্মীরা ঘুরে দেখেছেন কোথাও কেউ লকডাউন ভেঙে জটলা বা অকারণে রাস্তায় রয়েছেন কিনা। এমনকি কয়েক জায়গায় লকডাউন ভেঙে রাস্তায় ঘোরা মানুষকে হাল্কা লাঠি চার্জ করে পুলিশ বুঝিয়ে দিয়েছে খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় নয়।