মঙ্গলবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের জন্য স্তব্ধ থাকবে গোটা দেশ। দেশ জুড়ে লকডাউন। মানুষকে বাড়িতেই থাকতে হবে। করোনা চেন এভাবেই একমাত্র ভাঙা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই অনেকে পুরোটা শোনার জন্য অপেক্ষা না করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। কেউ হাজির হন মুদির দোকানে, কেউ সবজির দোকানে, কেউ মাংসের দোকানে তো কেউ ওষুধের দোকানে। অনেক দোকানে লম্বা লাইন পড়ে যায় ক্রেতাদের।
রাজ্যে লকডাউন ছিলই। তারমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ২১ দিনের ঘোষণায় কলকাতা সহ দেশ জুড়েই শুরু হয়ে যায় কেনার ধুম। অনেকেই ৩১ মার্চ মাথায় রেখে সেইমত বাজার করে রেখেছিলেন। যাতে আর বার হতে না হয়। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত খাবার ভাঁড়ারে জমা করেননি অনেকেই। করলেও কাঁচা আনাজ বা মাছ, মাংস করেননি। একটা ভীতিও কাজ করছিল যে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বাড়ি থেকে বার হতে মানা করেছেন তাতে খাবার মিলবে তো? যদিও সরকার বারবারই জানিয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মিলবে স্বাভাবিকভাবে।
সোমবার রাজ্যে কলকাতা সহ অন্য জেলার কিছু অংশে লকডাউন ঘোষণার পর সোমবার সকাল থেকে একটা প্যানিক পারচেজ দেখেছিলেন সকলে। এরপর ফের মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শুরু হল একই কাণ্ড। মঙ্গলবার রাতে অনেকে ২১ দিনের খাবার নিশ্চিত করার মত খাবারদাবার কিনতে বার হন। চেষ্টা করেন মজুত করতে। আর এক্ষেত্রে যেটা হল তা হল সামাজিক দূরত্ব ভুলে মানুষ সেই একে অপরের খুব কাছাকাছি গায়ে গায়ে এসে পড়লেন জিনিস কিনতে গিয়ে।