করোনাকে রুখতে লকডাউন চলছে সারা দেশে। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন কীভাবে রেশন, বাজার করতে হবে। কতটা দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নিজে রাস্তায় বেরিয়ে ভাঙা ইট দিয়ে এঁকে বুঝিয়ে দিয়েছেন কীভাবে কতটা করে দূরত্ব রেখে দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র কিনতে হবে। কিন্তু সেসব শিকেয় উঠল বুধবার। বুধবার থেকে রাজ্য সরকারি ঘোষণা মত এক মাসের রেশন একবারে দেওয়া এবং তা বিনামূল্যে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ফলে বুধবার সকাল থেকেই বিভিন্ন রেশন দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে।
লকডাউনের অন্যতম শর্তই হল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। যাতে করোনা সংক্রমণ না ঘটে। কিন্তু এদিন সেসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভিড়ে গাদাগাদি করে রেশন নেওয়ার ধুম পড়ে যায় অনেক জায়গায়। রাজ্য সরকার থেকে খাদ্যমন্ত্রী বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে যথেষ্ট খাদ্য সামগ্রি রয়েছে। সকলেই রেশন পাবেন। কিন্তু স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও বুধবার অনেক জায়গায় হৈচৈ পড়ে রেশন নিতে। দূরত্বের শর্ত না মেনে সকলেই গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে রেশন সংগ্রহ করেন।
অনেক জায়গায় গ্রাহকরা বিক্ষোভেও ফেটে পড়েন। সেখানে গ্রাহকদের অভিযোগ রেশন ডিলার ঘোষণা মত চাল, গম দিচ্ছেন না। কম দেওয়া হচ্ছে। পুরুলিয়ার আকরো গ্রামে এদিন রেশনের দোকানে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অবশেষে পুলিশকে লাঠি চার্জ করে ভিড় হঠাতে হয়। এমনই ছবি ধরা পড়েছে আরও অন্যান্য জায়গাতেও। সব মিলিয়ে যে করোনা চেনকে ভাঙতে মানুষ এতটা লড়াই করে বাড়িতে বন্ধ দেওয়ালের পিছনে দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন, সেই লড়াইকে এমন ভিড় কিন্তু নিমেষেই শেষ করে দিতে পারে। তাই দরকার একটু সচেতনতা।