Kolkata

দীপালোকের বার্তায় আতসবাজির রোশনাই

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন ৯ মিনিটের জন্য ঘরের সব আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ বা টর্চ জ্বালিয়ে নিজেদের বাড়ির বারান্দা বা ছাদ থেকে গোটা দেশ একসঙ্গে হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে সেটা বুঝিয়ে দিতে। কেউ যেন একসঙ্গে এক জায়গায় জড়ো হয়ে কিছু না করেন সে কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

রবিবার রাত ৯ টা বাজতে প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘরের আলো নিভিয়ে দেন অধিকাংশ মানুষ। তারপর টর্চ, মোবাইলের টর্চ, মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালান।


এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু তারপরই শুরু হয় আতসবাজির রোশনাই। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা তো বটেই এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও চুটিয়ে পুড়তে থাকে আতসবাজি। পুড়তে থাকে পটকা। আকাশে ছাড়া হতে থাকে রংবাহারি শেল। চতুর্দিক থেকে ভেসে আসতে থাকে শব্দবাজির আওয়াজ।

লকডাউনের জেরে গোটা শহর জুড়ে যে শান্তি বিরাজ করছিল তা নিমেষে ভেঙে শব্দবাজির তাণ্ডব শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ যে এমনটা চলেছে তেমনটা নয়। কিন্তু যেটুকু হল সেটাই কী প্রধানমন্ত্রীর আবেদন ছিল? এটাই কী কাম্য ছিল? এ উদ্যোগ কী কোনও আনন্দ উৎসব? যে হৈহৈ করে বাজি পুড়বে!


রবিবার রাত ৯টার পর থেকে অনেকটা সময় ধরে আকাশের বুকে দেখা মেলে ফানুসের। আকাশ জুড়ে এমন দৃশ্য কেবল দিওয়ালীর সময়ই দেখতে পাওয়া যায়। এত বাজিও নজরে পড়ে দিওয়ালীতে। অথবা বিচ্ছিন্নভাবে ভারত কোনও বড় ম্যাচ জিতলে বা কোনও বিবাহ অনুষ্ঠানে।

কিন্তু এ তো আনন্দ উৎসব ছিলনা। দেশের এই দুঃসময়ে সকলে হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে লড়ছে এই বার্তাই তো দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবটা কী সেকথাই বলল!

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button