রাজ্যে হাজির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, জবাব চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল হাজির হয়েছে। তারা ৭টি জেলা ঘুরে দেখবে। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি।
মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। প্রত্যেক দলে ৬ জন করে সদস্য রয়েছেন।
রাজ্যে ২টি কেন্দ্রীয় দল হাজির হয়েছে। তারা ৭টি জেলা ঘুরে দেখবে। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি। দক্ষিণবঙ্গের ৪টি জেলার জন্য এসেছে একটি দল। উত্তরবঙ্গের ৩টি জেলার জন্য অন্য একটি দল।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল হাজির হলেও এভাবে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল পাঠানোকে ভাল চোখে নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পরামর্শ, সমর্থন গ্রহণে তৈরি রাজ্য সরকার। কিন্তু এভাবে কেন প্রতিনিধিদল পাঠানো হল তার কারণ পরিস্কার নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে কিসের ভিত্তিতে রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠানো হল তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটাও পরিস্কার করে দিয়েছেন, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই এভাবে প্রতিনিধি দল পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নষ্ট করে বলেও মনে করেন তিনি। রাজ্য সরকার এটাও কার্যত পরিস্কার করে দিয়েছে যে দল পাঠানোর কারণ যুক্তিগ্রাহ্য না হলে সরকার ওই কেন্দ্রীয় দলকে প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে পারবেনা।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোকে রাজ্য সরকার যে ভাল চোখে নিচ্ছে না তা এদিন কার্যত পরিস্কার হয়ে গেছে। এরমধ্যেই কিন্তু রাজ্যে দক্ষিণ ও উত্তর ভাগে ২টি কেন্দ্রীয় দল পৌঁছে গেছে। প্রসঙ্গত কেন্দ্র যে জেলাভিত্তিক হটস্পট চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে রাজ্যের কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট তার রাতে জানিছেন দেশের সাম্প্রতিক অবস্হার কারণে কেন্দ্র যে কোন নির্দেশ লাগু করতে পারে এবং রাজ্যগুলিকে তা মানতে হবে।
প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীও নামানো যেতে পারে। জানিনা তা কতটা সত্যি।