
ম্যাডক্স স্কোয়ারে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার রমিত মণ্ডলের হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার রাতে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রণদীপ সরকার ওরফে বিশাল ও শুভময় জানা ওরফে বাবুসোনাকে ওই অঞ্চল থেকে এবং মনুকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থেকে গ্রেফতার করে হয়। তাদের জেরা করে খুনের সঙ্গে তাদের প্রত্যক্ষ যোগের সন্ধান মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বাকি ৩ অভিযুক্ত এখনও ফেরার। এদের মধ্যে একজন বিহারে পালিয়ে গেছে বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন রাতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিরিয়ানি খাচ্ছিলেন রমিত ও তাঁর বন্ধুরা। এই সময়ে ২টি মোটর বাইকে বিশাল, বাবুসোনা সহ ৬ স্থানীয় যুবক সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। এলাকার বাইরের কিছু ছেলেকে সেখানে দাঁড়িয়ে বিরিয়ানি খেতে দেখে তারা রমিতদের প্রশ্ন করতে শুরু করে। কেন, কোথা থেকে জাতীয় প্রশ্ন থেকে ক্রমশ কথা কাটাকাটি ঝগড়ার চেহারা নেয়। তারপর শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ ৬ যুবক রমিতদের গাড়ির একটি কাচ ভেঙে দেয়। রমিতের এক বন্ধুকে মারধরও করে। তাদের হাত ছাড়িয়ে দ্রুত গাড়ি নিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয় রমিতরা। কিন্তু রাস্তা ভুলে কিছুক্ষণের মধ্যে ফের সেখানেই হাজির হয়। সেই সময় তাদের ওপর দ্বিতীয় দফায় চড়াও হয় ওই যুবকরা। এদের মধ্যে বিশাল রাস্তার ধারে পড়ে থাকা একটি পাথরের চাঁই তুলে ছুঁড়ে দেয় গাড়িতে চালকের আসনের পিছনে বসে থাকা রমিতের দিকে। রমিতের মাথা ফেটে যায়। রাত ২টো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় রমিতকে শিশুমঙ্গলে ভর্তি করে তাঁর বন্ধুরা। পরে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, যে পাথর মেরেছিল সেই বিশালই পুলিশে ফোন করে ম্যাডক্স স্কোয়ারের সামনে একটা গণ্ডগোল হয়েছে বলে জানায়। পুলিশ বিশালের গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করে। পরে তার ফোনের কথোপকথন গোপনে শুনে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই সে নিজে ফোন করে গণ্ডগোলের কথা জানিয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।