এগিয়ে আসছে আম্ফান, আকাশে মেঘের ঘনঘটা
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ক্রমশ ধেয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। ফলে উপকূলীয় এলাকা তো বটেই, কলকাতাতেও মেঘের ঘনঘটা।
কলকাতা : মঙ্গলবার সকালের দিকে রোদের দেখা একটু মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ উধাও। জ্যৈষ্ঠের যে প্রখর দাবদাহে গত কয়েকদিনে মানুষ গলদঘর্ম হচ্ছিলেন সেই তাপও নেই। সেই ভ্যাপসা গরমও নেই। বরং বেলা যত বেড়েছে ততই কলকাতার আকাশ মেঘে ছেয়েছে। সঙ্গে আলতো ঠান্ডা হাওয়া।
খুব দ্রুতই বদলাচ্ছে পরিবেশ। কারণ আম্ফান আরও এগিয়ে এসেছে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের ৩টি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান-এর প্রভাবে তছনছ হতে চলেছে। বড় ধরণের প্রভাব পড়তে চলেছে এই ৩ জেলায়।
রাজ্যসরকার গত সোমবার থেকে একটু একটু করে শুরু করেছিল উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। মঙ্গলবার তার গতি বাড়িয়ে আরও দ্রুত মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুর সহ উপকূলীয় এলাকা জুড়ে হাওয়ার দাপট বাড়তে শুরু করেছে। আকাশ মেঘে ঢাকা। মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ আগেই করা হয়েছে। সব মৎস্যজীবীকে সমুদ্র থেকে ফিরিয়েও আনা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ক্রমশ উত্তাল চেহারা নিচ্ছে। আম্ফানের প্রভাব কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ওপরও পড়তে চলেছে।
লকডাউন চলায় এখন অনেকেই বাড়িতে। যদিও ক্রমশ এ রাজ্যে দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। ২১ মে থেকে আরও দোকান খুলছে। তবু এখনও বহু মানুষই গৃহবন্দি। বাকি যাঁদের উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে তাঁদের সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠিয়েছে নবান্ন।