চেনা ছবি উধাও, জামাইষষ্ঠীতে পুজো হল, জামাই আদর হল না
লকডাউন, আম্ফান, বৃষ্টি, সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠীর চেনা ছবি কার্যত উধাও শহরে। ষষ্ঠীপুজো প্রথা মেনে হলেও জামাই আদর হল কই!
কলকাতা : বাংলায় একটা কথাই আছে জামাইআদর। সে আদর তার চরমসীমা ছোঁয় জামাইষষ্ঠীতে। দিনটাই যে জামাইদের। আর দিনটা হল খাওয়াদাওয়া আর উপহারের। জামাইষষ্ঠী বললেই বাঙালির যেটা প্রথম মনে আসে সেটা হল ভূরিভোজ। পঞ্চব্যঞ্জনে পাত সাজিয়ে, চারধারে থরে থরে সাজানো বাটিতে নানা উপাদেয় পদ। সঙ্গে ফল, মিষ্টি। এলাহি আয়োজন। এটাই চিরাচরিত ছবি। সঙ্গে জামাইয়ের জন্য এটা ওটা উপহার। সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে অনেকে জামাইকে খাওয়ানোটা এখন হোটেলে সারলেও তাতে জামাইআদরে ত্রুটি হয়না। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে চলে আসা সেই চেনা ছবি বৃহস্পতিবার উধাও। ভিলেন হল করোনা। লকডাউনের জেরে এবার জামাই আদরে ভাটা পড়ল যথেষ্টই।
জামাইষষ্ঠীর দিন বৃহস্পতিবার প্রথা মেনে ষষ্ঠীপুজো হয়েছে অনেক বাড়িতেই। শুধু জামাইআদরটা হয়নি। অবশ্যই লকডাউন সমস্যায় এখন যাতায়াতে অনেক বিধিনিষেধ। করোনা থেকে দূরে থাকতে অনেকেই এখনও বাড়িতেই বন্দি। এই অবস্থায় দূরে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া যেমন একদিকে জামাইদের পক্ষে সম্ভব হয়নি, তেমনই জামাইয়ের জন্য পছন্দের পদের বন্দোবস্তও সম্ভব হয়নি।
যাঁদের বাড়ির কাছে শ্বশুরবাড়ি, তাঁরা জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে শ্বশুরবাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন ঠিকই। কিন্তু সেই প্রতি বছরের চেনা ছন্দটা ছিলনা। কোথায় যেন তাল কাটল জামাইষষ্ঠী। সাধারণ সময় হলে বৃহস্পতিবার দিনটাও ছিল তোফা। বৃষ্টিবাদলার দিন। মেঘে ঢাকা আকাশ। গরমের ছোঁয়াটুকুও নেই। ফলে দিনটা ভূরিভোজে কাটালেও তেমন সমস্যা হতনা। কিন্তু এবার করোনা থাবায় চেনা জামাইষষ্ঠীর আনন্দটা মাঠে মারা গেল অনেক বাঙালি পরিবারে।