ঘরে ঢুকে কলেজ ছাত্রীর গলায় গুলি করে পালাল যুবক
ঘরে ঢুকে এক কলেজ ছাত্রীর গলায় গুলি করে পালাল যুবক। ঘটনা ঘিরে সকালেই চাঞ্চল্য ছড়ায় কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়।
কলকাতা : কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা পুরকাইত। বয়স ২০। শনিবার সকালে শুয়ে ছিলেন নিজের ঘরে। পাশে শুয়েছিলেন তাঁর পিসি। বেলা তখন প্রায় ৮টা। তবে পুরকাইত পরিবারের সকলের তখনও ঘুম ভাঙেনি। অভিযোগ, সেই সময় এক যুবক তাঁদের বাড়িতে ঢুকে আসে। বাড়ির দরজা খোলা থাকার সুবাদে সোজা পৌঁছে যায় প্রিয়াঙ্কার ঘরে। সেখানে ঘুমিয়ে থাকা প্রিয়াঙ্কার গলায় গুলি করে সে। তারপর দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানার অন্তর্গত আনন্দপল্লী এলাকায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় প্রিয়াঙ্কার। গলা কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এমন শিউরে ওঠার মত দৃশ্যে প্রবল আতঙ্ক কুঁকড়ে যান বাড়ির লোকজন। এমন দৃশ্যে আতঙ্ক আর বাড়ির মেয়ের এমন অকালমৃত্যু, সব যেন তালগোল পাকিয়ে যায় পরিবারের অন্যদের। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রিয়াঙ্কাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় এক বিবাহিত যুবক জয়ন্ত হালদারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক ছিল। তাদের একসঙ্গে থাকাতে প্রিয়াঙ্কার পরিবারেরও আপত্তি ছিলনা। এদিকে জয়ন্ত বিবাহিত জেনেও প্রিয়াঙ্কা তার সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যান। জয়ন্ত বুঝিয়েছিল তার সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ভাল নয়। এটা জানার পর প্রিয়াঙ্কার বাড়িতেও জয়ন্তর অবাধ যাতায়াত ছিল বলে জানতে পারে পুলিশ।
প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জয়ন্তর প্রেমপর্ব ভালই চলছিল। কিন্তু এরমধ্যেই প্রিয়াঙ্কা জানতে পারেন জয়ন্তর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। আর এটা জানার পর থেকেই তাঁর মন ভেঙে যায়। জয়ন্তর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। এদিকে প্রিয়াঙ্কা আচমকা তার জীবন থেকে ক্রমশ সরতে শুরু করেছেন বুঝতে পেরে একদিন প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে এসে হুঁশিয়ারও করে যায় জয়ন্ত বলে দাবি প্রিয়াঙ্কার পরিবারের। তারপর এদিনের এই হত্যাকাণ্ড। পুলিশের অনুমান এই খুনের পিছনে জয়ন্তই রয়েছে। সেই বাড়িতে ঢুকে প্রিয়াঙ্কাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত জয়ন্ত হালদার।