২৭ হাজার পার নমুনা পরীক্ষা, ৩ হাজারের দরজাতেই রোগী
রাজ্যে ২৭ হাজার পার করে গেল দৈনিক নমুনা পরীক্ষা। তবে নতুন রোগীর সংখ্যা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল।
কলকাতা : প্রতিদিন কত মানুষ নতুন করে করোনায় কাবু হচ্ছেন। আর প্রতিদিন কত মানুষ করোনা সারিয়ে করোনামুক্ত হচ্ছেন। তার হিসাব খতিয়ে দেখলে দেখা যায় দেশে হোক বা রাজ্যে দৈনিক নতুন রোগী সবসময় বেশি থেকেছে। আগের দিন প্রথম এ রাজ্যে দৈনিক রোগীর চেয়ে দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি হয়েছিল। সেই একই প্রবণতা গত একদিনেও বজায় রইল। গত একদিনে এ রাজ্যে নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে ২ হাজার ৯৩১ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে ৩ হাজার ৬৭ জন। রাজ্যে গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বেশি মানুষ। তার চেয়ে কম মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
রাজ্যে নতুন রোগীর সংখ্যা গত একদিনেও সেই ৩ হাজারের দরজাতেই ঘুরছে। গত ৬ দিন ধরে এই একই ছবি দেখা যাচ্ছে। নতুন রোগীর সংখ্যায় উনিশ-বিশ ফারাক হচ্ছে। গত একদিনে রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা কিন্তু আরও হাজার বেড়েছে। ২৭ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত একদিনে। তাতে রোগীর সংখ্যা ধরা পড়েছে ২ হাজার ৯৩১ জন। কিন্তু এদিন সুস্থ হয়ে ডিসচার্জ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা তার আগের দিনের তুলনায় কমে গেছে। এই নিয়ে পরপর ২ দিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা রাজ্যে কমে গেল। যা সত্যিই রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। রাজ্যে এখন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার থেকে ২৫ হাজারে নেমে গেছে। রাজ্যে এখন মোট অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৮৪৬ জন।
রাজ্যে যেমন অ্যাকটিভ রোগী গত ২ দিনে কমেছে, তেমনই কমেছে মৃত্যু। ৫০-এর ঘর থেকে ৪০-এর ঘরে নেমেছে। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে মৃত্যু ৫০-এর ঘরে ঘোরাফেরা করেছে। এমনকি মাঝে ৬০-এর ঘরেও পৌঁছে যাওয়া মৃতের সংখ্যা গত ২ দিনে ৪০-এর ঘরে নেমেছে। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। গত দিনের চেয়ে একটু বেশি। ফলে রাজ্যে মোট মৃত্যু ঠেকেছে ২ হাজার ১৪৯-এ।
গত একদিনে যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় ৯ জনের। এছাড়া হাওড়ায় ৫ জন, মুর্শিদাবাদে ৫ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩ জন, হুগলিতে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দার্জিলিং, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়।
রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এদিন সুস্থ হয়েছেন। ৩ হাজার পার করেছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। গত একদিনে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩ হাজার ৬৭ জন। ফলে রাজ্যে এখন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা ৭৩ হাজার পার করে গেছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৩৯৫ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৭২.৩৯ শতাংশ। এই প্রথম ৭২ শতাংশ পার করল রাজ্যে সুস্থতার হার। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা