রাজ্যে মৃত ৫৪, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় এই প্রথম প্রাণ কাড়ল করোনা

কলকাতা : রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই তা কিছু কিছু করে বাড়ছে। গত একদিনে সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে ৩ হাজারের দরজাতেই দাঁড়িয়ে গেছে। অন্যান্য দিনেও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করছে রাজ্যে দৈনিক রোগীর সংখ্যা। গত একদিনে রাজ্যে করোনা রোগী পাওয়া গিয়েছে ২ হাজার ৯৩৬ জন। ৩ হাজারের দরজায় পৌঁছনোর পর টানা কয়েকদিন সামান্য কয়েকজন কম বেশিতেই আটকে থাকছে রোগীর সংখ্যা।

গত ২ দিন ধরে অবশ্য নমুনা পরীক্ষা বেড়ে ২৭ হাজার ছুঁয়েছে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৭১২টি। এটা রেকর্ড। তারমধ্যে ২ হাজার ৯৩৬ জনের দেহে করোনার হদিশ মিলেছে। রাজ্যে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লক্ষ ৪ হাজার ৩২৬ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৩ জন। গত দিনে তা ২৫ হাজারের ঘরে নেমে গেলেও এদিন ফের তা ২৬ হাজারের ঘরে ফিরেছে।

রাজ্যে করোনায় মৃত্যুও বাড়ছে। গত একদিনে রাজ্যে ৫৪ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। যা আগের দিনের তুলনায় ৫ বেশি। গত ২ দিন ৪০-এর ঘরে থাকার পর ফের রাজ্যে মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৫০-এর ঘরে। গত একদিনে ৫৪ জন মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৩ জন।

গত একদিনে যে ৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। যার হাত ধরে কলকাতায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১ কম-এ গিয়ে ঠেকেছে। কলকাতায় মোট মৃতের সংখ্যা ৯৯৯ জন। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। এছাড়া হাওড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জন, নদিয়ায় ৩ জন ও জলপাইগুড়িতে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে। ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন হুগলি, পুরুলিয়া, দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ারে। এই প্রথম পুরুলিয়াতে কেউ করোনার কারণে প্রাণ হারালেন।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২ হাজার ৭২৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তার আগের ২ দিন ৩ হাজারের ওপর থাকার পর ফের এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের দৈনিক সংখ্যা ৩ হাজারের নিচে নামল। রাজ্যে এখন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা ৭৬ হাজার পার করে গেছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ১২০ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৭২.৯৬ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা