Kolkata

করোনায় ফের এক তৃণমূল বিধায়কের প্রাণ গেল

ফের এক তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যু হল করোনায়। সোমবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কলকাতা : কিছুদিন আগেই করোনা প্রাণ কেড়েছিল তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার বিধায়কের মৃত্যুর পর এবার মৃত্যু হল এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসের। সমরেশবাবুর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রায় ১ মাস হাসপাতালে কাটানোর পর তাঁর মৃত্যু হল সোমবার ভোরে। ভোর প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে তৃণমূলে শোকের ছায়া নেমে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সমরেশ দাসের মৃত্যুতে শোক ব্যক্ত করেছেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি। সমরেশবাবুর মৃত্যুতে রাজনৈতিক ক্ষতির কথাও জানান তিনি।

এগরার বিধায়ক সমরেশবাবুর করোনা ধরা পড়ার পর তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই বেসরকারি হাসপাতালে পরিস্থিতির অবনতি হতেই থাকায় তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসারত ছিলেন। গত ২৪ জুলাই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। তারপর থেকে টানা প্রায় ৩ সপ্তাহ ভেন্টিলেশনেই ছিলেন তিনি। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছিল না।


ভেন্টিলেশনে থাকলেও তাঁর পরিস্থিতির উন্নতি দূরে থাক অবনতি হতেই থাকে। অবশেষে সোমবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। তৃণমূলের ২ বিধায়কের মৃত্যু কিন্তু দলের জন্যও বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। এদিকে শুধু পশ্চিমবঙ্গ বলেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই কিন্তু সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক করোনায় কাবু হচ্ছেন। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু অবশ্যই তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। সেই ধাক্কা এখনও দল সামলে উঠতে পারেনি। তার আগেই আরও এক তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যু হল।

করোনা গ্রাস করেছিল দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকেও। তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে সুজিতবাবু এখন সুস্থ। তিনি বাড়িও ফিরেছেন সুস্থ হয়ে। এখন কাজেও ফিরেছেন। এদিকে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী মালদার কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তাঁকে করোনা পজিটিভ হিসাবে পাওয়ার পর তিনি এখন বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button