আলিপুর চিড়িয়াখানায় মৃত ২ যুবক, লকডাউনে কাজ কেন, উঠছে প্রশ্ন
আলিপুর চিড়িয়াখানায় বৃষ্টি ভেজা সকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল ২ জন যুবকের। ১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কলকাতা : বৃষ্টি ভেজা গোটা শহর। তার ওপর আবার লকডাউন। পুলিশ কঠোর হওয়ার পর থেকে লকডাউন পালিত হচ্ছে যথেষ্ট সফলভাবে। যার জেরে রাস্তাঘাট ছিল সুনসান। চিড়িয়াখানায় সাধারণের প্রবেশ এমনিতেই নিষেধ, ফলে সেখানেও ছিল নিস্তব্ধতা। সেই ফাঁকা বৃষ্টি ভেজা আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। চিড়িয়াখানায় হাতির যে জায়গা রয়েছে তার উল্টোদিকে গাছের আড়ালে রয়েছে সবুজ বেড়া। তার ধারেই চলছিল বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানোর জন্য লোহার বিম লাগানোর কাজ।
লোহার বিম লাগানোর কাজ করছিলেন ৩ যুবক। বিম সহ তা লাগানোর জন্য যাবতীয় সামগ্রি, কোদাল নিয়ে তাঁরা হাজির হয়েছিলেন সকালে। কাজ চলাকালীন আচমকাই তাঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। জলে ভেজা বিদ্যুতের তার বা খোলা অংশ সব সময় বিপজ্জনক। তার ওপর চলছিল লোহার বিম নিয়ে কাজ। লোহাও বিদ্যুতের সুপরিবাহী। ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ৩ জন। এঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়। ১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃতদের মধ্যে একজন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। অন্যজন ওড়িশার বলে জানতে পারা গেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যে জুড়ে করোনা রুখতে লকডাউন। লকডাউনের মধ্যেও তাঁদের কে বা কারা কাজ করার অনুমতি দিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনাটি ঘটে বেলা ১১টার পর। যেখানে ঘটে সেখানে আশপাশে জল জমে আছে। ভেজা সর্বত্র। তারমধ্যেই কেন কাজ করতে দেওয়া হল এঁদের? ঠিক কীভাবে এঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় এখন সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। সেই মার্চ মাস থেকেই বন্ধ চিড়িয়াখানার দরজা। হালে চিড়িয়াখানার পশুপাখি আমজনতাকে ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য ভার্চুয়াল ট্যুর শুরু হয়েছে। ফেসবুক লাইভে এই ট্যুর হচ্ছে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে। তবে চিড়িয়াখানা চত্বর দীর্ঘদিনই সুনসান। তার মধ্যেই চিড়িয়াখানায় হাতির ঘেরা জায়গার সামনে বৃহস্পতিবার ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।