Kolkata

বাঁকুড়ায় প্রথম মৃত্যু, কলকাতাকে ফের টপকাল উত্তর ২৪ পরগনা

রাজ্যে সংক্রমণের দৈনিক পরিসংখ্যানে গত একদিনে রাজ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যাকে টপকে গেছে। তার আগের দিনও তাই হয়েছে।

কলকাতা : রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই তা কিছু কিছু করে বাড়ছে। গত ২ দিনে অবশ্য ৩ হাজারের ঘর থেকে নিচে নেমেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে রাজ্যে নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে ২ হাজার ৯৬৪ জন। তার আগের দিনের চেয়ে ৩ জন কম। গত একদিনে রাজ্যে ৩৭ হাজার ৫২৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮০১ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৪৯ জন। আগের দিন ছিল ২৭ হাজার ৬৯৪ জন। নতুন ধরা পড়া রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে।

রাজ্যে করোনায় মৃত্যুও প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে রাজ্যে ৫৮ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। পরপর ২ দিনই ৫৭ জন করে রোগীর মৃত্যুর পর এদিন ১ জন বাড়ল সংখ্যাটা। এদিন রাজ্যে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯০৯ জন। গত একদিনে যে ৫৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। এদিন ফের কলকাতাকে মৃত্যুর নিরিখে টপকে গেছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত একদিনে উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ১৮ জন।


কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জন এবং জলপাইগুড়িতে ৩ জন মারা গেছেন। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়ায়। আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এই প্রথম বাঁকুড়ায় কোনও করোনা রোগীর মৃত্যু হল। ফলে রাজ্যে আর এমন কোনও জেলা রইল না যেখানে করোনায় মৃত্যু নেই।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত ৫ দিনই ৩ হাজার পার করেছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। গত একদিনে ৩ হাজার ২৫১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে এখন করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৪৩ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৯.১০ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button