রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা, ৮০ শতাংশের দরজায় সুস্থতা
রাজ্যে সংক্রমণের দৈনিক পরিসংখ্যানে গত একদিনে রাজ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যাকে অনেকটা পিছনে ফেলেছে। গত একদিনে রেকর্ড সংখ্যক নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে রাজ্যে।
কলকাতা : রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ৩ দিনে অবশ্য ৩ হাজারের ঘর থেকে নিচে নেমেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে রাজ্যে নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে ২ হাজার ৯৭৪ জন। তার আগের দিনের চেয়ে ১০ জন বেশি। ফলে এটা বলাই যায় যে রাজ্যে নতুন করে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা আগের দিনের সঙ্গে সমান রয়ে গেছে। অথচ গত একদিনে তার আগের দিনের তুলনায় আড়াই হাজার বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত একদিনে রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই প্রথম একদিনে ৪০ হাজার পার করল নমুনা পরীক্ষা। রাজ্যে ৪০ হাজার ৩১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত একদিনে। রাজ্যে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৭৫ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৫৪ জন। আগের দিন ছিল ২৭ হাজার ৩৪৯ জন। নতুন ধরা পড়া রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যুও প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে রাজ্যে ৫৫ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আগের দিনের তুলনায় ৩ জন কম। এদিন রাজ্যে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৬৪ জন। গত একদিনে যে ৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। গত একদিনে উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ১০ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৭ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জন এবং দার্জিলিংয়ে ৪ জন মারা গেছেন। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলিতে। আলিপুরদুয়ার, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে ১ করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। বাঁকুড়ায় আগের দিন প্রথম করোনায় মৃত্যুর খবর মেলে। তারপর ২ দিনের মধ্যে সেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত ৬ দিনই ৩ হাজার পার করেছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। গত একদিনে ৩ হাজার ৩১৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে এখন করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৫৭ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৯.৭৫ শতাংশ। ফলে ৮০ শতাংশ সুস্থতার দরজায় পৌঁছে গেল রাজ্য। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা