Kolkata

একদিনে নতুন রোগী ও মৃত্যুতে কলকাতাকে ফের টেক্কা দিল উত্তর ২৪ পরগনা

রাজ্যে করোনা থাবা বসানোর পর থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে কলকাতাই ছিল শীর্ষে। কলকাতাকে এখন জোর টক্কর দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা।

কলকাতা : রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ৫ দিনে অবশ্য ৩ হাজারের ঘর থেকে নিচেই থেকেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে রাজ্যে নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে ২ হাজার ৯৯২ জন। তার আগের দিনের চেয়ে ১৫ জন কম। ফলে এটা বলাই যায় যে রাজ্যে নতুন করে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা আগের দিনের সঙ্গে সমান রয়ে গেছে।

গত একদিনে রাজ্যে ৪২ হাজার ১২১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যে এখন মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৫৪ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৪৯ জন। তার আগের দিন ছিল ২৬ হাজার ৭০৯ জন। অর্থাৎ কমেছে অ্যাকটিভ রোগী। নতুন ধরা পড়া রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছে।


রাজ্যে করোনায় মৃত্যুও প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে রাজ্যে ৫৬ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আগের দিনের তুলনায় ৩ জন বেশি। রাজ্যে এখন করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৩ জন। গত একদিনে যে ৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। গত একদিনে কলকাতাকে ফের মৃত্যুতে টপকে গেছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে মারা গেছেন ১৪ জন। সংক্রমণের নিরিখেও উত্তর ২৪ পরগনা টপকে গেছে কলকাতাকে।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৪ জন, দার্জিলিংয়ে ৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জন মারা গেছেন। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম ও হুগলিতে। দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা।


রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত ৮ দিনই ৩ হাজার পার করেছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। গত একদিনে ৩ হাজার ২৮৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে এখন করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৩২ জন। যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৮০.৮৬ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button