বাংলার মুকুটে নতুন পালক, ‘সবুজ সাথী’ পেল রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি
বাংলার মুকুটে ফের এক নতুন পালক যুক্ত হল। কন্যাশ্রীর পর এবার সবুজ সাথী প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পেল।
কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘সবুজ সাথী’ এবার পেল রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি। রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি থেকে এই স্বীকৃতি মিলল। তবে এই প্রাপ্তি সত্যিই গর্বের। কারণ কঠিন লড়াইয়ে জিতেই এই স্বীকৃতি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্প। বিশ্বের ১৬২টি দেশ এই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল। ১৬২টি দেশের ১ হাজার ৬০০টি নানা ধরনের প্রকল্প এই লড়াইয়ে ছিল। সেই ১ হাজার ৬০০টি প্রকল্পের মধ্যে ছিল বাংলার সবুজ সাথী প্রকল্পও।
কঠিন লড়াইয়ের পর অবশেষে রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি থেকে এই স্বীকৃতি মিলল। সবুজ সাথী প্রকল্প জিতে নিল রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি। ২০১৭ সালে রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করে রাষ্ট্রসংঘে। তার ৩ বছর পর ফের রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে সম্মান অর্জন করল বাংলা। রাজ্য সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্প জিতে নিল বিরল সম্মান।
বাংলার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল বিতরণের লক্ষ্য নিয়েই এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিভিন্ন সময়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাইকেল। সাইকেলের সামনে লাগানো থাকে সবুজ পাতের ওপর সবুজ সাথীর লোগো। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শহর, নগরের ছাত্রছাত্রীরা এই সাইকেল পেয়ে উপকৃত হয়েছে। সেইসঙ্গে এটি পরিবেশ বান্ধবও বটে। সাইকেলে সফর পরিবেশের ক্ষতি করেনা। শরীরের পক্ষেও সাইকেল চালানো ভাল।
রাজ্যের আরও একটি প্রকল্প তরুণ তরুণীদের মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য চালু হয়েছে, নাম ‘উৎকর্ষ বাংলা’। এই প্রকল্পও রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি-তে প্রশংসিত হয়েছে। ফলে বাংলার একাধিক প্রকল্প এখন আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি লাভ করছে, সম্মান অর্জন করছে। প্রশংসিত হচ্ছে। যা রাজ্যের জন্যও গর্বের। কন্যাশ্রী প্রকল্পের পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাজ্যের জন্য ফের বড় সম্মান নিয়ে এল সবুজ সাথী। যা হয়তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও বড় প্রাপ্তি। কারণ তাঁর ভাবনাকে সামনে রেখেই এই প্রকল্পগুলি চালু হয়েছে।