Kolkata

রাজ্যে গত একদিনে মৃত ৬০, মৃত্যুতে ২ অঙ্কে ঢুকল দক্ষিণ ২৪ পরগনা

রাজ্যে গত একদিনে করোনায় প্রাণ হারালেন ৬০ জন। এই প্রথম একদিনে মৃত্যুতে ২ অঙ্কে ঢুকে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

কলকাতা : রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনেও সেই ৩ হাজারের উপরই মিলল সংক্রমিতের হদিশ। রাজ্যে ৩ হাজার ১৮৫ জন নতুন করোনা রোগী পাওয়া গিয়েছে।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ৬১৮টি।


রাজ্যে অবশ্য নমুনা পরীক্ষা কম বা বেশির সঙ্গে দৈনিক নতুন পাওয়া সংক্রমণের সংখ্যার কোনও ফারাক হচ্ছেনা। সংখ্যাটা দাঁড়িয়ে থাকছে প্রায় একই জায়গায়।

রাজ্যে এখন মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪২৫ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৭২৩ জন।


রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের। আগের দিনের চেয়ে ৪ জন বেশি। রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮১ জন।

গত একদিনে যে ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। এদিন মৃত্যুর নিরিখে নজর কেড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

এতদিন উত্তর ২৪ পরগনা টানা ২ অঙ্কে ছিল মৃত্যুতে। এবার একদিনে মৃত্যুতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ২ অঙ্কে ঢুকে পড়ল। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৯ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় দীর্ঘদিন পর মৃত্যুর সংখ্যা এতটা নিচে নামল।

বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতে ২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, ও ঝাড়গ্রামে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। সাধারণত এখন প্রতিদিনই ৩ হাজারের ওপর থাকছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। মাঝেমধ্যে তা ৩ হাজারের ঘর থেকে সামান্য নেমে যায়।

গত একদিনে ২ হাজার ৯৪৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৯২১ জন।

যার হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার এদিন আরও সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭.৬৭ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button