সাড়ে ৬ মাস পর খুলল আলিপুর চিড়িয়াখানা
সাড়ে ৬ মাস বন্ধ ছিল চিড়িয়াখানার দরজা। অবশেষে শুক্রবার তা খুলে গেল সাধারণের জন্য। তবে একগুচ্ছ নিয়ম মেনে।
কলকাতা : করোনা এ দেশে থাবা বসায় গত মার্চ মাসে। তার আগেই অবশ্য ৩০ জানুয়ারি এ দেশে প্রথম এক করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছিল। মার্চে বাড়তে শুরু করায় গত ১৭ মার্চ শেষবার সাধারণ মানুষ চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পেরেছিলেন। তারপর থেকে চিড়িয়াখানার দরজা সংক্রমণের আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর তো লকডাউনেই চলে যায় দেশ। তারপর কেটে গেছে সাড়ে ৬ মাস। এতদিনে বারবার প্রশ্ন উঠছিল চিড়িয়াখানার দরজা কবে খুলবে? তবে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
আনলক ৫ পর্বে সিনেমা হল ও বিনোদন পার্ক খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যসরকারও জানিয়ে দিয়েছে এবার খুলে যাবে সিনেমা হল, বিনোদন পার্ক। রাজ্যসরকার এও জানিয়ে দেয় ২ অক্টোবর থেরে রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা খুলে যাচ্ছে।
সেই ঘোষণা মেনেই খুলে গেল চিড়িয়াখানার দরজা। শুক্রবার সকালে চিড়িয়াখানায় সাধারণের প্রবেশ ফের শুরু হয়। তবে একগুচ্ছ নিয়ম বিধি লাগু হয়েছে চিড়িয়াখানা চত্বরে। চিড়িয়াখানায় ঘোরার ক্ষেত্রেও রয়েছে নিয়মবিধি।
করোনা আবহে চিড়িয়াখানার দরজায় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়া স্যানিটাইজারের বন্দোবস্তও রয়েছে ঢোকার মুখে।
চিড়িয়াখানায় ঢোকার পরও মেনে চলতে হচ্ছে দূরত্ববিধি। খাঁচার সামনে দাঁড়ানোর নিয়ম রয়েছে। সকলে ভিড় করে একটা খাঁচার সামনে দাঁড়াতে পারবেননা।
হাতে জলের বোতল নিয়ে ঢোকা যাবে। কারণ চিড়িয়াখানা চত্বরে সাধারণের জন্য কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকছে না। কোথাও থুতু বা পানের পিক বা পান মশলার পিক ফেলা যাবে না। সকলের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে সজাগ থাকছে চিড়িয়াখানা চত্বরের সব সিসিটিভি।
চিড়িয়াখানায় একসঙ্গে ৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবেননা। চিড়িয়াখানায় পৌঁছে কোনও প্রবেশের জন্য টিকিট কাটা যাবে না। টিকিট আগে থেকে অনলাইনে কেটে ঢুকতে হবে। এজন্য রাজ্যের বন দফতরের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের অন্য চিড়িয়াখানাগুলির দরজাও সাধারণের জন্য খুলে গেছে।