সংক্রমণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দিলীপ ঘোষ
রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের করোনা ধরা পড়ল। গত শুক্রবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আপাতত তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
কলকাতা : বিজেপির নবান্ন অভিযানেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। হাওড়া ব্রিজের কাছে পুলিশ পথ আটকায় তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে চলা মিছিলের। ব্রিজে ওঠার মুখে ব্যারিকেড করে পথ আটকানো হয়। সেখানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সেদিন ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তারপর থেকে তাঁর শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না। মাঝে তিনি আইসোলেশনেও ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর জ্বর ছিল।
জ্বর থাকলেও তা যে খুব বেশি উঠেছিল তা নয়। হাল্কা জ্বরই থেকে যাচ্ছিল। ফলে তিনি করোনা পরীক্ষা করান। আর তাতেই তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
শুক্রবার রাতেই তিনি জানতে পারেন করোনার কথা। তারপরই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে দিলীপবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
হাসপাতালের তরফে জানা গেছে দিলীপবাবুর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ভালই আছে। তাঁর অবস্থাও স্থিতিশীল। এদিকে দিলীপবাবু করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অনেক রাজ্য বিজেপি নেতাই এদিন তাঁর খোঁজখবর নেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন অনেকেই।
ঠিক পুজোর মুখে এসেই করোনা কাবু করল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। আপাতত তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।
করোনাকালে দিলীপবাবু অনেক মিছিল মিটিংয়েই অংশ নিয়েছে। বিজেপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে তিনি অনেক সময় চায়ে পে চর্চার-র ঘরোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
চা পান করতে করতে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। কিছু এলাকায় সে কাজও তিনি করছিলেন। ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এবং দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে তাঁর প্রায় প্রাত্যহিক যোগাযোগ ছিল। অনেকের সংস্পর্শেই তাঁকে আসতে হচ্ছিল।
ফলে সেখান থেকে সংক্রমণ তাঁর দেহে বাসা বেঁধে থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। দিলীপবাবুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন তাঁর দলের নেতা কর্মীরা। উদ্বেগেও রয়েছেন তাঁরা।