প্রতিমা থাকা অবস্থায় সল্টলেকের মণ্ডপে বিধ্বংসী আগুন
প্রতিমা ভাসান হয়নি। মণ্ডপেই ছিল। প্রতিমা মণ্ডপে থাকা অবস্থায় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি পুজো মণ্ডপ। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
কলকাতা : দ্বাদশীর ভোর। তখনও পুরো সল্টলেকের ঘুম ভাঙেনি। প্রাতঃভ্রমণকারীরা কয়েকজন বেরিয়েছিলেন বটে। তাছাড়া দুধ, কাগজ বিক্রেতারা ছিলেন রাস্তায়। বাজারহাট বসা শুরু করেছিল।
ঘড়ির কাঁটায় তখন মোটামুটি সওয়া ৬টা। এমন সময় শান্ত পরিবেশকে আতঙ্কে ভরিয়ে তোলে আগুনের লেলিহান শিখা। একটা গোটা পুজো মণ্ডপ দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। আগুন এত দ্রুত পুরো মণ্ডপকে গ্রাস করে যে তা নিমেষে পুরো অংশ জুড়ে জ্বলতে শুরু করে।
সল্টলেকের এফডি ব্লকের বিশাল মাঠে পুজো অনেকদিনের। মাঠের মাঝ বরাবর মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল এবার। সেই মণ্ডপ সাতসকালে এভাবে জ্বলতে দেখে আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আরও বড় চিন্তার হয় মণ্ডপের ভিতরে থাকা মাতৃ প্রতিমা।
বুধবারই প্রতিমা ভাসানের কথা ছিল। আর বুধবার সকালেই এই কাণ্ড। প্রতিমা ভিতরে থাকাটা মানুষকে আরও বেশি চিন্তায় ফেলে দেয়। দ্রুত দমকলে খবর যায়। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে।
মণ্ডপ মানেই বাঁশ, কাপড়, কাগজ, থামোর্কল সহ এমন সব জিনিসের সম্ভার যাতে আগুন খুব দ্রুত ধরে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে আগুন যখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে তখন কয়েকটা বাঁশ ছাড়া আর বিশেষ কিছুই অবশিষ্ট ছিলনা। সবই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সকালেই এক চরম উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকা জুড়ে। অনেকেই বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। পুজো উদ্যোক্তারাও দ্রুত সেখানে হাজির হন।
আগুন কিভাবে লাগল তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে চেষ্টা চলছে আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আগুন লাগার কারণ জানার। সুরক্ষাকর্মীরাও ছিলেন। তাঁরা আগুন দেখে খবর দিলেও তার আগে আগুন কীভাবে লাগল সে সম্বন্ধে কিছু বলতে পারেননি।
দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। প্রতিমাও আগুনের লেলিহান শিখার শিকার হয়। দমকলকর্মীরা খুব দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।