রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল
গত দিন আর এদিনের সংখ্যা প্রায় একই জায়গায় রয়ে গেল রাজ্যে। সংক্রমণ থেকে সুস্থতা, মৃত্যু থেকে নমুনা পরীক্ষা। ফারাক সেই অর্থে নেই।
কলকাতা : দেশে সার্বিকভাবে অক্টোবরে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। কিন্তু অক্টোবরে এ রাজ্যের ছবিটা ঠিক উল্টো এসেছে। সংক্রমণ তার উর্ধ্বমুখী প্রবণতাই ধরে রেখেছে। মৃত্যুও রাজ্যে দৈনিক ৬০-এর আশপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম।
৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ এখন খাতায় কলমে ৪ হাজারের নিচে হলেও তা ৪ হাজারের একদম দরজায় ঘোরাফেরা করছে। গত একদিনে ৩ হাজার ৯৫৭ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে। আগের দিনও প্রায় একই অবস্থায় ছিল সংক্রমিতের সংখ্যা।
উৎসবের মধ্যে সংক্রমণের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা সামান্য কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ২৩৭টি।
রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৬০৮ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৫৭৬ জন।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। আগের দিনের চেয়ে ২ জন কম। রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৫৭ জন।
গত একদিনে যে ৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৭ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জন, নদিয়ায় ৩ জন ও পশ্চিম বর্ধমানে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২ জন মানুষের প্রাণ গেছে কোচবিহার, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এছাড়া দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা এবং পুরুলিয়ায় ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪ হাজার ৮৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭৫ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। এদিন সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮.৫৯ শতাংশে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা