রাজ্যে সংক্রমণ কমল ও বাড়ল সুস্থতার হার
গত একদিনে রাজ্যে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমল। তুলনায় সুস্থতা বেড়েছে। তবে মৃত্যু প্রায় একই জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা চিন্তায় রেখেছে রাজ্যবাসীকে।
কলকাতা : দেশে সার্বিকভাবে অক্টোবরে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। কিন্তু গত অক্টোবরে এ রাজ্যের ছবিটা ঠিক উল্টো এসেছে। সংক্রমণ তার উর্ধ্বমুখী প্রবণতাই ধরে রেখেছিল। দৈনিক মৃত্যুও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম।
নভেম্বরেও ছবিটা প্রায় একই। ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ এখন খাতায় কলমে ৪ হাজারের নিচে হলেও তা ৪ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। এদিন তা সেখান থেকে কিছুটা হলেও নেমেছে। গত একদিনে ৩ হাজার ৮৯১ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে।
উৎসবের মরসুমে সংক্রমণের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা অবশ্য বজায় রয়েছে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা সামান্য কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ১১৭টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ১১২ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৪৪ জন।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। আগের দিনের চেয়ে ৩ জন কম। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪০৩ জন।
গত একদিনে যে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। মৃত্যুর নিরিখে কলকাতাকে এদিনও টপকে গেছে উত্তর ২৪ পরগনা। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে জলপাইগুড়িতে ৪ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪ জন, হাওড়ায় ৩ জন ও হুগলিতে ৩ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়া দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪ হাজার ৪১৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন এদিন।
রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ২৬৫ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার ৯০ শতাংশের ঘরে ঢুকে পড়েছে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯০.১১ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা