Kolkata

অনেকদিন পর রাজ্যে পঞ্চাশের নিচে নামল মৃত্যু

গত একদিনে রাজ্যে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে। তুলনায় সুস্থতা বেড়েছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু ৫০-এর ঘরের নিচে নেমেছে।

কলকাতা : দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমশ কমার দিকে। যদিও এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যুও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম।

অক্টোবরের পর নভেম্বরেও ছবিটা প্রায় একই থেকেছে। ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ এখন অবশ্য কমার দিকে। গত একদিনে ৩ হাজার ৮৭২ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে।


গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা প্রায় একই রয়ে গেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ১৩১টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৯৮৪ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৮৩৬ জন।

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। টানা ৫০-এর ঘরেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল মৃত্যু। তবে গত একদিনে করোনায় মৃত্যু ৫০-র ঘর ছেড়ে নিচে নেমেছে। খুব যে নেমেছে তা নয়। তবে আগের দিনের চেয়ে ৪ জন কম মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।


গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৫২ জন।

গত একদিনে যে ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। মৃত্যুর নিরিখে কলকাতাকে এদিনও টপকে গেছে উত্তর ২৪ পরগনা। উত্তর ২৪ পরগনায় এদিন প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৫ জন, হুগলিতে ৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন এবং নদিয়ায় ৩ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। ২ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে। এছাড়া কোচবিহার, মালদা, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনেও আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪ হাজার ৪৩১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন গত একদিনে।

রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৯৬ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়েছে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯০.৩৪ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button