রাজ্যে অনেকটা কমল নমুনা পরীক্ষা ও দৈনিক সংক্রমণ
রাজ্যে মাত্র একদিনের ব্যবধানে অনেকটা কমে গেল সংক্রমণ। একদিনে এক ধাক্কায় নিচে নামল নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা। অবশ্য নমুনা পরীক্ষাও উল্লেখজনকভাবে কমেছে।
কলকাতা : দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমশ কমার দিকে। যদিও এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যুও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম। অক্টোবরের পর নভেম্বরেও ছবিটা প্রায় একই থেকেছে।
৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ এখন অবশ্য কমার দিকে। গত একদিনে আবার প্রায় ৪ হাজারের কাছে থাকা সংক্রমণ লাফ দিয়ে কমে নেমে এসেছে ৩ হাজারের দরজায়। ৩ হাজার ৫৩ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে এই একদিনে।
গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা কিছুটা কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৫৮টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৫১ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩১৪ জনে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। টানা ৫০-এর ঘরেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল মৃত্যু। তবে গত বুধবার করোনায় মৃত্যু ৫০-র ঘর ছেড়ে নিচে নামে। যদিও ফের তা বেড়ে ৫০-এর ঘরে ফিরে এসেছে।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। আগের দিনের চেয়ে ২ জন কম মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৬১ জন।
গত একদিনে যে ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৬ জন, হুগলিতে ৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন, নদিয়ায় ৩ জন এবং দার্জিলিংয়ে ২ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এছাড়া জলপাইগুড়ি, মালদা, বীরভূম ও পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনেও আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪ হাজার ৪৮০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৭৬ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়েছে, ৯১ শতাংশের ঘরে ঢুকে পড়েছে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯১.৪৩ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা