রাজ্যে সুস্থতার হার পৌঁছল ৯২ শতাংশের দরজায়
রাজ্যে সুস্থতার হার পৌঁছে গেল ৯২ শতাংশের দরজায়। লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণও ৩ হাজারের ঘর ছেড়ে ২ হাজারে ঢোকার অপেক্ষায়।
কলকাতা : দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমশ কমার দিকে। যদিও এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যুও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম।
অক্টোবরের পর নভেম্বরেও ছবিটা প্রায় একই থেকেছে। ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ অবশ্য গত ২ দিনে উল্লেখযোগ্যভাবে কমার দিকে। গত একদিনেও সংক্রমণ অনেকটা কম। প্রায় ২ হাজারি ঘরে ঢুকে পড়ার অপেক্ষায় রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ।
৩ হাজার ১২ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে গত একদিনে। এদিন নমুনা পরীক্ষা কিছুটা কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ হাজার ১২৭টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৬৩ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৯৭ জনে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। টানা ৫০-এর ঘরেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল মৃত্যু। তবে গত বুধবার করোনায় মৃত্যু ৫০-র ঘর ছেড়ে নিচে নামে। যদিও ফের তা বেড়ে ৫০-এর ঘরে ফিরে এসেছে।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। আগের দিনের চেয়ে ২ জন বেশি মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭১৪ জন।
গত একদিনে যে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৮ জন, নদিয়ায় ৪ জন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। ২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে দার্জিলিং, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে। এছাড়া জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়া ও হুগলিতে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনেও আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪ হাজার ৩৭৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে এদিন বাড়ি ফিরেছেন।
রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯৫২ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার প্রায় ৯২ শতাংশের দরজায় পৌঁছে গেছে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯১.৮১ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা