Kolkata

রাজ্যে বাড়ল সংক্রমণ, একদিনে মৃত ৫৪

রাজ্যে সংক্রমণ ৩ হাজারের ঘর থেকে নামার পরিস্থিতি তৈরি হয়েও ফের লাফ দিয়েছে। গত একদিনে সংক্রমণ ৩ হাজার ৬০০-র ওপরেই রইল। মৃত্যু হল ৫৪ জনের।

কলকাতা : দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমশ কমার দিকে। যদিও এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যুও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম।

অক্টোবরের পর নভেম্বরেও ছবিটা প্রায় একই থেকেছে। ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ রবিবার ও সোমবার ২ দিনে উল্লেখযোগ্যভাবে কমার দিকে ছিল। ২ হাজারের ঘরে ঢুকে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে ফের গত ২ দিনে লাফ দিয়ে বেড়ে গেল সংক্রমণ।


রাজ্যে ৩ হাজার ৬৬৮ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে গত একদিনে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ৫১৯টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৮৫ জন। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ২৯৬ জন।

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। টানা ৫০-এর ঘরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে মৃত্যু। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। আগের দিনের চেয়ে ২ জন বেশি মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।


এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮২০ জন। গত একদিনে যে ৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। মৃত্যুর নিরিখে কলকাতাকে ছাপিয়ে গেছে উত্তর ২৪ পরগনা। উত্তর ২৪ পরগনায় এদিন প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হুগলিতে ৫ জন, হাওড়ায় ৪ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জন, নদিয়ায় ৩ জন এবং মুর্শিদাবাদে ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়া উত্তর দিনাজপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনেও আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪ হাজার ৪২৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন এদিন।

রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭৬৯ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯২.২৮ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button