রাজ্যে দৈনিক সুস্থতা ৪ হাজারের নিচে নেমে এল
রাজ্যে দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন ৪ হাজারের ওপরই থাকছিল। গত একদিনে তা নেমে এল ৪ হাজারের নিচে। সংক্রমণের সংখ্যার খুব কাছাকাছি।
কলকাতা : দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমশ কমার দিকে। যদিও এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যুও প্রায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। কখনও এক-দুজন বেশি তো কখনও এক-দুজন কম। অক্টোবরের পর নভেম্বরেও ছবিটা প্রায় একই থেকেছে। ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ রবিবার ও সোমবার ২ দিনে উল্লেখযোগ্যভাবে কমার দিকে ছিল। ২ হাজারের ঘরে ঢুকে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে ফের গত ৩ দিনে লাফ দিয়ে বেড়ে গেল সংক্রমণ।
৩ হাজার ৬২০ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে গত একদিনে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ২৬৩টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫০৫ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৮৭৩ জনে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। টানা ৫০-এর ঘরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে মৃত্যু। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। আগের দিনের চেয়ে ১ জন কম মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৭৩ জন। গত একদিনে যে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হুগলিতে ৪ জন, হাওড়ায় ৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪ জন এবং দার্জিলিংয়ে ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এছাড়া উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমান ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। তবে দীর্ঘদিন দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪ হাজারের ওপরেই থাকার পর গত একদিনে তা ৪ হাজারের নিচে নেমেছে।
গত একদিনে ৩ হাজার ৯৯০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৭৫৯ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২.৪৩ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা
