স্বস্তি দিয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা কমার দিকে
রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু কমার দিকে। অন্তত সেই প্রবণতাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রবণতা যদি বজায় থাকে তাহলে তা রাজ্যবাসীর জন্য স্বস্তির।
কলকাতা : এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যু টানা ৫০-এর ঘরে থাকার পর গত ২ দিনে তার একটা নিম্নমুখী প্রবণতা নজর কাড়ছে। এদিকে ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ এখন সাড়ে ৩ হাজারের ওপর ঘোরাফেরা করছে।
৩ হাজার ৫৫৭ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে গত একদিনে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ৩৬৭টি। অনেকটা কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯১৮ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৩০ জনে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। টানা ৫০-এর ঘরেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল মৃত্যু। গত ২ দিনে অবশ্য তার একটা নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। আগের দিনের চেয়ে ২ জন কম মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার করল। সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৫ জন।
গত একদিনে যে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে তার চেয়ে বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে নদিয়ায় ৫ জন, দার্জিলিংয়ে ৩ জন, জলপাইগুড়িতে ৩ জন এবং হাওড়ায় ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। ২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতে। এছাড়া আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ৩ হাজার ৬৮৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৮১৬ জন।
এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২.৮০ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা