রাজ্যে ৯৩ শতাংশের দরজায় সুস্থতার হার
রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু কমার দিকে। অন্তত সেই প্রবণতাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে সুস্থতার হার প্রায় ৯৩ শতাংশের দরজায় পৌঁছে গেছে।
কলকাতা : এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যু টানা ৫০-এর ঘরে থাকার পর গত ৩ দিনে তার একটা নিম্নমুখী প্রবণতা নজর কাড়ছে।
এদিকে ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ এখন সাড়ে ৩ হাজারের ওপর ঘোরাফেরা করছে। ৩ হাজার ৫৪৫ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে গত একদিনে।
গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ৫৬২টি। রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৬৩ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৮৮০ জনে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। টানা ৫০-এর ঘরেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল মৃত্যু। গত ৩ দিনে অবশ্য তার একটা নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। আগের দিনের চেয়ে ২ জন বেশি মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১২১ জন।
গত একদিনে যে ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে তার চেয়ে বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৭ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে উত্তর দিনাজপুর ও হুগলিতে। এছাড়া দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ৩ হাজার ৬৪৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৬২ জন।
এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার প্রায় ৯৩ শতাংশের দরজায় পৌঁছে গেছে। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯২.৮৮ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা