Kolkata

জেলায় পড়লেও কলকাতায় বন্‌ধের প্রভাব তেমন পড়ল না

ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বন্‌ধে কলকাতায় তেমন একটা প্রভাব পড়ল না। তবে অনেক জেলায় বন্‌ধের আংশিক প্রভাব পড়েছে। বেশ কিছু ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

কলকাতা : বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে ভারত বন্‌ধের আংশিক প্রভাব পড়ল এ রাজ্যে। তবে যেটুকু প্রভাব পড়েছে তা জেলাতে। কলকাতায় বন্‌ধের প্রভাব তেমন দেখা যায়নি। কলকাতায় রাস্তাঘাট ছিল স্বাভাবিক। রাজাবাজার সহ কিছু জায়গায় সকালের দিকে বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা অবরোধ করেন। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

এদিন বন্‌ধ সমর্থনকারীরা মেট্রো রেল স্টেশনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন। দমদম, চাঁদনি চকের মত স্টেশনে ঢোকারও চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মেট্রো চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেনি।


লেনিন সরণিতে বন্‌ধ সমর্থনকারীরা মিছিল করেন। একটি দোকানে ভাঙচুরও হয়। এছাড়া মৌলালি মোড় থেকে একটি মিছিল বার করেন বামেরা। এদিন শহরে বেসরকারি বাস কিছুটা সংখ্যায় কম ছিল। তুলনায় সরকারি বাস ছিল অনেক।

কেন্দ্রীয় সরকারি বিলগ্নিকরণ নীতি সহ বেশ কিছু নীতির বিরোধিতা করে ৭ দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এদিন সকাল থেকে কলকাতায় তেমন প্রভাব না পড়লেও জেলায় জেলায় বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে।


হুগলি, শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটি, শ্যামনগর, হাবড়া, পলতা, ব্যারাকপুর, ঢাকুরিয়া, জয়নগর, যাদবপুর সহ বিভিন্ন স্টেশনে এদিন রেললাইনে বসে পড়ে অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থকেরা। ওভারহেড তারে ফেলে দেওয়া হয় কলাপাতা। তবে সব জায়গাতেই অবরোধ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

কোথাও জোর করে বা কোথাও বুঝিয়ে বন্‌ধ সমর্থনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এ সবের জেরে এদিন লোকাল ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।

রেল অবরোধের পাশাপাশি এদিন পথ অবরোধও হয় বিভিন্ন জায়গায়। বারাসতের কলোনি মোড়ে অবরোধ হয়। অবরোধকারীদের হঠাতে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয়। কোচবিহারে বাসে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। বাসের কাচ এতে ভেঙে যায়।

বীরভূমের সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বন্‌ধ সমর্থনকারীরা মিছিল বার করেন। জোর করে দোকান বন্ধ করানোর চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে এখানে।

বন্‌ধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে হুগলি শিল্পাঞ্চলে। এখানে অনেক কারখানায় এদিন উপস্থিতি ছিল নগণ্য। অন্যদিকে দুর্গাপুর, আসানসোলেও বন্‌ধ সমর্থনকারীরা বন্‌ধ সফল করতে রাস্তায় নামেন। পাল্টা কয়েক জায়গায় মিছিল করে তৃণমূলও। তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের তরফে বর্ধমান সহ বেশ কিছু জায়গায় মিছিল বার করা হয়। বন্‌ধের বিরোধিতা করেই মিছিল হয়।

এদিনের বন্‌ধ ছিল কেন্দ্রীয় বেশ কিছু নীতির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল তারা নীতিগতভাবে বন্‌ধকে সমর্থন করেনা। তবে যে বিষয়গুলিকে সামনে রেখে বন্‌ধ ডাকা হয়েছে সেই ইস্যুগুলিকে তারাও সমর্থন করে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button