Kolkata

এক ধাক্কায় রাজ্যে অনেকটা কমল সংক্রমণ

রাজ্যে টানা সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল দৈনিক সংক্রমণ। যা গত একদিনে এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেল। যা অবশ্যই স্বস্তি দিয়েছে রাজ্যবাসীকে।

কলকাতা : এ রাজ্যে সংক্রমণ অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যু টানা ৫০-এর ঘরে থাকার পর মাঝে তার একটা নিম্নমুখী প্রবণতা নজর কাড়ে। কিন্তু ফের তা ঘুরছে ৫০-এর ঘরে।

এদিকে ৪ হাজারের ওপর চলে যাওয়া সংক্রমণ গত রবিবার সাড়ে ৩ হাজারের নিচে নেমেছিল মাত্র। কিন্তু নভেম্বরের শেষ দিনে তা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেল। পৌঁছে গেল আড়াই হাজারের কাছে।


গত একদিনে ২ হাজার ৬৭১ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে রাজ্যে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ হাজার ১৭৮টি। এক ধাক্কায় গত দিনের তুলনায় ৭ হাজার কমেছে নমুনা পরীক্ষা। যার সঙ্গে সংক্রমণ কমার যোগ থাকতেই পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৮৪ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২৯৮ জন।


রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। ২-১ দিনের ব্যতিক্রম বাদ দিলে দৈনিক মৃত্যু কমার নাম নিচ্ছিল না। গত একদিনে অবশ্য মৃতের সংখ্যা কমে ৪০-এর ঘরে এসেছে। ৪৮ জনের প্রাণ গেছে করোনায়। আগের দিনের চেয়ে ৬ জন কম মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪২৪ জন। গত একদিনে যে ৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৩ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন এবং নদিয়ায় ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। ২ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়া কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা কমেছে। ২ হাজার ৭৩০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৬২ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩.২৩ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button