উত্তর ২৪ পরগনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমল করোনায় মৃত্যু
রাজ্যে সংক্রমণ প্রতিদিনই কমছে। তবে তা খুব অল্প করে। দৈনিক সংক্রমণের চিত্র বলছে তা ক্রমশ নিম্নমুখী। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমল করোনায় মৃত্যু।
কলকাতা : নভেম্বর জুড়ে রাজ্যে সংক্রমণ প্রথমে ৪ হাজার ও তারপর তা নেমে সাড়ে ৩ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। দৈনিক মৃত্যুও মূলত ঘুরেছে ৫০-এর ঘরেই। ডিসেম্বরে পড়ে ৩ হাজারের ওপরই রয়েছে সংক্রমণ।
গত একদিনে ৩ হাজার ২৪৬ জন নতুন রোগী পাওয়া গিয়েছে রাজ্যে। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ১৩০টি। গত দিনের তুলনায় বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা।
রাজ্যে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩১৬ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১০৬ জনে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। নভেম্বরে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ঘোরাফেরা করেছে মূলত ৫০-এর ঘরে। ডিসেম্বরে পড়েও ধারা একই রইল।
গত একদিনে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে ২ জন কম মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৭৬ জন।
গত একদিনে যে ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। এদিনই প্রথম উত্তর ২৪ পরগনাকে একদিনে মৃত্যুতে টপকে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৮ জন, হুগলিতে ৪ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জন, নদিয়ায় ৩ জন এবং জলপাইগুড়িতে ২ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
এছাড়া আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সামান্য কমেছে। ৩ হাজার ২৫৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৩৪ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩.৩৮ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা