Kolkata

রাজ্যে একদিনে ২ হাজারেরও নিচে সংক্রমণ, ৯৪ শতাংশে সুস্থতা

রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ গত একদিনে ২ হাজারেরও নিচে নেমে গেল। বিগত কয়েক মাসে এমনটা দেখা যায়নি। এদিন অবশ্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে নমুনা পরীক্ষাও।

কলকাতা : নভেম্বর জুড়ে রাজ্যে সংক্রমণ প্রথমে ৪ হাজার ও তারপর তা নেমে সাড়ে ৩ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। দৈনিক মৃত্যুও মূলত ঘুরেছে ৫০-এর ঘরেই। ডিসেম্বরে পড়ে ৩ হাজারের ঘরেই ছিল সংক্রমণ। পরে তা নেমে আসে ২ হাজারি ঘরে। প্রতিদিন সামান্য করে হলেও কমছে সংক্রমণ।

গত একদিনে তা নেমে এসেছে ২ হাজারের নিচে। যা গত কয়েক মাসে দেখা যায়নি। রাজ্যে গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৪ জন। এই একদিনে নমুনা পরীক্ষাও এক ধাক্কায় প্রায় ১০ হাজার কমেছে।


গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ হাজার ৬৭১টি। রাজ্যে এদিন মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২৯ জনে। যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৮৪ জনে।

নভেম্বরে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ঘোরাফেরা করেছে মূলত ৫০-এর ঘরে। ডিসেম্বরে পড়েও ধারা একই রইল। তবে ডিসেম্বরে ৪০-এর ঘরেই মূলত পাওয়া যাচ্ছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা।


গত একদিনে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। আগের দিনের চেয়ে ৪ জন কম মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১০০ জন।

গত একদিনে যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে গত একদিনে মৃত্যু। এই জেলায় মারা গেছেন ৫ জন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হুগলিতে ৫ জন, হাওড়ায় ৪ জন, জলপাইগুড়িতে ৪ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এছাড়া মালদা, নদিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়।

রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা গত দিনের চেয়ে সামান্য কমেছে। ২ হাজার ৯৮০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৪৫ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪.১৮ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button