নিক্কো থেকে চিড়িয়াখানা, উধাও বর্ষশেষের চেনা ভিড়
২০২০ শেষ, বৃহস্পতিবারই শেষ দিন। আর বছরের শেষ দিন মানেই উৎসবের মেজাজ। কিন্তু এবার করোনার জন্য চেনা ভিড়টাই উধাও হয়েছে।

কলকাতা : বছরের শেষ দিন মানেই রাতে চুটিয়ে সেলিব্রেশন। একে অপরকে হ্যাপি নিউ ইয়ার জানানো। রাতভর পার্টি, আনন্দ, হুল্লোড়। আর এই আনন্দের আবহেই নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া।
বছর শেষের রাতটা যদি পার্টি মুখর হয় তাহলে বেলাটা হয় বিভিন্ন ঘোরার জায়গায় ঠাসা ভিড়ে। কলকাতার দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতে প্রতি বছরই এই দিনটায় তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। সকলেই মেতে ওঠেন বছর শেষের আনন্দে।
বাড়িতে মন টেকে না। সকাল হতেই পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সকলে। কেউ যান চিড়িয়াখানা, কেউ ময়দান, কেউ ভিক্টোরিয়া, কেউ নিক্কো পার্ক, কেউ ইকো পার্ক, কেউ অন্য কোথাও। কিন্তু এই দিনটা যেন বাড়িতে থাকার নয়।
এবার করোনা কিন্তু সেই খুশিটাও কেড়ে নিল মানুষের কাছ থেকে। তার ওপর নতুন চিন্তা নিয়ে হাজির হয়েছে ব্রিটেনের নতুন করোনা স্ট্রেন। যা নিয়ে তটস্থ গোটা বিশ্ব।
ভারতে তো বটেই খোদ কলকাতাতেও একজনের শরীরে মিলেছে ওই নতুন স্ট্রেন। যার ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা। সব মিলিয়ে করোনার ধাক্কায় এবার বর্ষবরণটাতেও ৪ দেওয়ালের পিছনেই থাকছেন বেশির ভাগ মানুষ।
যদিও এমন নয় যে কেউই বার হননি। তবে পরিবার নিয়ে বার হওয়ার প্রবণতা কম। ভিড় যদি কিছুটাও জমেছে তো তা তরুণ প্রজন্মের ভিড়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিড়িয়াখানা হোক বা নিক্কো পার্ক, ভিক্টোরিয়া হোক বা ইকো পার্ক, সর্বত্র তরুণ তরুণীদের ভিড়। তাঁরা এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। এখানে দিনটা আনন্দ করে বাড়ি ফিরে যাওয়া। এটাই পরিকল্পনা।
রাজ্যসরকার এবার নিয়ন্ত্রিতভাবে বর্ষবরণের পরামর্শ দিয়েছে। কড়া পুলিশি নজরদারিও রয়েছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ সকাল থেকেই তৎপর। অস্থায়ী কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে। পার্ক স্ট্রিটে তৈরি হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।
সন্ধের পর ভিড় যদি বাড়ে তাহলে তা সামাল দিতে প্রস্তুত পুলিশ। নিউমার্কেট চত্বরেও এদিন দেখা গেছে পুলিশকে মাইকিং করতে। মাস্ক নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে।
এমনকি যাঁদের মুখে এদিন মাস্ক দেখা যায়নি তাঁদের পুলিশের তরফ থেকেই মাস্ক দেওয়া হয় পরার জন্য। দেওয়া হয় স্যানিটাইজারও।