রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭ হাজারের দরজায়
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ এখন ১ হাজারের নিচেই থাকছে। নেমেছে দৈনিক মৃত্যুও। এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা নেমে ৭ হাজারের দরজায় পৌঁছল।
কলকাতা : রাজ্যে ডিসেম্বরের শুরুতে ৩ হাজারের ঘরেই ছিল সংক্রমণ। পরে তা নেমে আসে ২ হাজারি ঘরে। তারপর তা দেড় হাজারের আশপাশে এবং সেখান থেকে আরও নেমে এক হাজার থেকে ১ হাজার ২৫০-র মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই সংক্রমণ দীর্ঘ দিন পর ১ হাজারের নিচে নেমে যায়। যা বিগত কয়েক মাসে দেখতে পাওয়া যায়নি। তারপর এখন টানা সেই অবস্থান ধরে রেখেছে সংক্রমণ।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ৭৮৭ জন। গত দিনের তুলনায় কিন্তু নমুনা পরীক্ষা এদিন কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ হাজার ২২১টি। রাজ্যে এদিন মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৮৬ জন। এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৪ জন।
ডিসেম্বরের শুরুতে করোনায় মৃত্যু রাজ্যে ৫০-এর ঘরে ছিল। তারপর তা ৪০-এর ঘরেই ওঠানামা করছিল। তারপর ৩০-এর ঘরে নেমেছিল মৃত্যু। সেখান থেকে করোনায় রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু ৩০-র নিচে নামে গত কয়েকদিনে। এদিন ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে।
আগের দিনের চেয়ে ১ জন কম মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯২২ জন।
গত একদিনে যে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ৫ জন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে হাওড়ায় ৪ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন, হুগলিতে ১ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১ জন এবং পুরুলিয়ায় ১ জন করে মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
রাজ্যে একই সঙ্গে বহু রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা গত দিনের চেয়ে সামান্য কমেছে। ৯৭৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৩০ জন। এদিন এত মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠায় রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৭৯ শতাংশ। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা