
রাজ্যে ক্রমশ আইএসের পায়ের তলার মাটি মজবুত করার চেষ্টা করছিল মুসা। আর এই কাজে তাকে সবরকম সাহায্য দিচ্ছিল বাংলাদেশের দুটি জঙ্গি সংগঠন জামাতউল মুজাহিদিন ও আনসারুল তৌসিফের দুই প্রধান মহম্মদ সুলেমান ও তৌহিদ। আইএস সন্দেহে ধৃত মুসাকে জেরা করে এমনই তথ্য হাতে এল গোয়েন্দাদের। সিআইডি সূত্রের খবর, জেরায় অনেক কথাই জানিয়েছে মুসা। সুরেন্দ্রনাথ কলেজে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করা মুসা ছাত্রাবস্থা থেকেই কট্টরপন্থীদের সংস্পর্শে জড়িয়ে পড়ে। শেষ এক বছরে তাকেই পশ্চিমবঙ্গে আইএসের প্রসারে কাজে লাগায় সংগঠন। যদিও মুসা ছিল কেবলই সংগঠন তৈরির দায়িত্বে। সংগঠন তৈরির পরিকল্পনা আসত ওপার বাংলা থেকেই। মহম্মদ সুলেমান ওপার বাংলা থেকে রাজ্যে এসে বেশ কয়েকবার মুসার সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে যায়। লাভপুর যাওয়ার আগেও কলকাতায় সুলেমানের সঙ্গে দেখা করে মুসা। যদিও গোয়েন্দাদের ধারণা মুসা গ্রেফতার হওয়ার পরই রাজ্যে আইএস মডিউলের মাথা সুলেমান বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। এদিকে মুসার কলকাতা থেকে একটা ১৩ ইঞ্চির ধারালো অস্ত্র কেনা বা তার লাভপুরের বাড়ি তল্লাশি করে বাড়ি থেকে তরোয়াল উদ্ধার তার আইএস লিঙ্ক আরও পরিস্কার করে দিচ্ছে। কারণ আইএসের মোডাস অপারেন্ডিই হল মানুষকে কুপিয়ে খুন করা। যার জন্য ধারালো অস্ত্রের প্রয়োজন সর্বাগ্রে। মুসাকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এদিকে মুসাকে জেরা করে আইএস সন্দেহে অন্য যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ধৃত শেখ কালু ও শেখ আমিনকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।