রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃত ২, ৪ হাজারি ঘরে অ্যাকটিভ রোগী
রাজ্যে দীর্ঘদিন পর একদিনে মৃত্যু হল ২ জনের। একদিনে মৃত্যু এতটা নিচে এর আগে বহুদিন নামেনি। অবশ্যই যা রাজ্যবাসীর জন্য কিছুটা স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে।
কলকাতা : জানুয়ারির শেষে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ২০০-র ঘরেই থাকছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই তা ২০০-র নিচে নেমে যায়। সেই ঘর টানা ধরে রাখতে না পারলেও এদিন ফের তা ১৯৪ জনে নামল।
নমুনা পরীক্ষা আগের দিনের মতই হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৩ হাজার ১৬৭টি। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৮১ জন।
এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫ হাজারের ঘর থেকে নেমে এসেছে ৪ হাজারি ঘরে। দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৯২ জনে।
জানুয়ারির শেষের দিকের একটা বড় সময় ১০-এর নিচেই থেকেছে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু। আগের দিন রাজ্যে মৃত্যু নেমেছিল ৪ জনে। যা দীর্ঘ কয়েক মাসে এ রাজ্যের মানুষ দেখার সুযোগ পাননি।
এদিন তা আরও নেমে দাঁড়াল ২ জনে। গত একদিনে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এই নিম্নগামী করোনায় মৃত্যু রাজ্যের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে।
আগের দিনের চেয়ে ২ জন কম মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন করোনায় মোট মৃত্যু ১০ হাজার ২০০-র ঘরে প্রবেশ করেছে। দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২০১ জন।
গত একদিনে যে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ১ জন। এ রাজ্যে করোনায় সর্বাধিক বিধ্বস্ত ২ জেলা হল কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা।
এদিন যখন রাজ্যের আর কোনও জেলা থেকে মৃত্যুর খবর নেই, সেখানেও রাজ্যে ২ জন যে করোনায় মারা গেছেন তাঁদের ১ জন কলকাতায় এবং ১ জন উত্তর ২৪ পরগনায়।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২৯৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৮৮ জন।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাত ধরে এদিন ৯৭.৩৪ শতাংশে পৌঁছে গেল রাজ্যে সুস্থতার হার। রাজ্যে সুস্থতার হার প্রতিদিনই একটু একটু করে বেড়ে চলেছে। ক্রমশ কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
অন্যদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এ রাজ্যেও টিকাকরণের কাজ চলছে। যা অবশ্যই অনেকটা স্বস্তির কারণ হচ্ছে টিকা গ্রহীতাদের জন্য। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা