রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ
রাজ্যে মৃত্যু কমলেও সংক্রমণ ফের উর্ধ্বমুখী। এদিন কিছুটা বেড়েছে সংক্রমণ। মৃত্যু অবশ্য একই জায়গায় রয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধি চিন্তা বাড়াচ্ছে।
কলকাতা : ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ২০০-র নিচে নেমে যায় রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে প্রায় শেষে পৌঁছে। ২০০-র ওপর থাকছিল সংক্রমণ। মার্চে পড়ে কিন্তু ২০০-র ওপর নিচ করছে সংক্রমণ। এদিন কিন্তু সংক্রমণ বেশ বেড়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ২৫৫ জন।
হালে এত ওপরে একদিনে সংক্রমণ দেখা যায়নি। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৮৫১টি। আগের দিনের চেয়ে হাজার দেড়েক বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৭৬ জন। এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২৬ জনে। রাজ্যে রোগীর সংখ্যা অল্প হলেও প্রতিদিনই কিন্তু কমছে।
মার্চের প্রথম দিনেই রাজ্যে মৃত্যু শূন্যে নেমেছিল। রাজ্যের কোথাও একজনেরও মৃত্যু হয়নি। এদিন কিন্তু রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আগের দিনের চেয়ে ১ জন বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৭৫ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে তা হয়েছে মাত্র একটি জেলা থেকেই। রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত ২ জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে কলকাতায় মৃত্যু না থাকলেও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আর কোনও জেলা থেকে মৃত্যুর খবর নেই।
ক্রমশ কমতে থাকা মৃত্যু ও সংক্রমণ সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে।
করোনা বিধি পালন নিয়ে সাধারণ মানুষের ঢিলেঢালা মানসিকতা দেশে অচিরেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইসিএমআর।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২৬৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৭৫ জন।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাত ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার এদিন বেড়ে হয়েছে ৯৭.৬৬ শতাংশ। রাজ্যে টিকাকরণ কিন্তু জোরকদমে চলছে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা
