চিন্তা বাড়িয়ে রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে
রাজ্যে মৃত্যু কমলেও সংক্রমণ ফের উর্ধ্বমুখী। এদিন আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যু অবশ্য একই জায়গা ধরে রেখেছে।
কলকাতা : ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ২০০-র নিচে নেমে যায় রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে প্রায় শেষে পৌঁছে। ২০০-র ওপর থাকছিল সংক্রমণ। মার্চে পড়ে কিন্তু ২০০-র ওপর নিচ করছে সংক্রমণ। এদিনও কিন্তু সংক্রমণ বেড়েছে।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ২৫৯ জন। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৬৬৫টি। আগের দিনের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা হাজার খানেক কম হয়েছে। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৩৫ জন। এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২১৩ জনে। রাজ্যে রোগীর সংখ্যা অল্প হলেও প্রতিদিনই কিন্তু কমছে।
জানুয়ারির শেষের দিকের একটা বড় সময় ১০-এর নিচেই থেকেছে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু। মার্চের প্রথম দিনেই রাজ্যে মৃত্যু শূন্যে নেমেছিল। এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আগের দিনের সঙ্গে একই রয়ে গেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৭৭ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে তা হয়েছে মাত্র ২টি জেলা থেকেই। রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত ২ জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে কলকাতায় মৃত্যু না থাকলেও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
অন্য একজনের প্রাণ গেছে হাওড়ায়। আর কোনও জেলাতেই মৃত্যুর খবর নেই। ক্রমশ কমতে থাকা মৃত্যু ও সংক্রমণ সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে।
করোনা বিধি পালন নিয়ে সাধারণ মানুষের ঢিলেঢালা মানসিকতা দেশে অচিরেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইসিএমআর।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২৭০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৪৫ জন।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাত ধরে কিন্তু রাজ্যে সুস্থতার হার এদিন বাড়েনি। বরং একই জায়গায় রয়ে গেছে। সুস্থতার হার ৯৭.৬৬ শতাংশেই রয়ে গেছে। রাজ্যে টিকাকরণ কিন্তু জোরকদমে চলছে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা