রাজ্যে অনেকটা কমল নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণ কিন্তু বাড়ল
রাজ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সংক্রমণের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এদিনও তা ২০০-র ওপরই রইল। নমুনা পরীক্ষা কিন্তু এদিন এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে।
কলকাতা : মার্চে পড়ার পর থেকে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ অধিকাংশ দিন ২০০-র ওপরই থেকেছে। এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ২১৫ জন। গত দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা এদিন প্রায় ৬ হাজার কমেছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৪১২টি। নমুনা পরীক্ষা এতটা কমলেও সংক্রমণ কিন্তু গত দিনের চেয়ে বেড়েছে। যা থেকে রাজ্যে করোনার উর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্পষ্ট।
রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন। এদিন রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৫৫ জনে। রাজ্যে রোগীর সংখ্যা অল্প হলেও প্রতিদিনই কিন্তু কমছে।
জানুয়ারির শেষের দিকের একটা বড় সময় ১০-এর নিচেই থেকেছে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু। মার্চের প্রথম দিনেই রাজ্যে মৃত্যু শূন্যে নেমেছিল। এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
আগের দিনের তুলনায় ১ জন বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে রাজ্যে এখন মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮০ জনে।
গত একদিনে রাজ্যে করোনায় যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গেছেন ১ জন। হাওড়ায় করোনা প্রাণ কেড়েছে আর ১ জনের।
কলকাতা সহ রাজ্যের আর কোনও জেলায় মৃত্যুর খবর নেই। ক্রমশ কমতে থাকা মৃত্যু ও সংক্রমণ সংখ্যার জেরে এখন মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ির বাইরে কাজে বার হচ্ছেন। তবে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকা কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হচ্ছে।
করোনা বিধি পালন নিয়ে সাধারণ মানুষের ঢিলেঢালা মানসিকতা দেশে অচিরেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইসিএমআর।
রাজ্যে একই সঙ্গে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন। গত একদিনে ২২১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যার হাত ধরে এদিন রাজ্যে করোনামুক্ত মানুষের মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪০৩ জন।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের হাত ধরে কিন্তু এদিন রাজ্যে সুস্থতার হার বাড়েনি। বরং গত দিনের সঙ্গে একই জায়গায় রয়ে গেছে। সুস্থতার হার রয়েছে ৯৭.৬৭ শতাংশে। রাজ্যে টিকাকরণ জোরকদমে চলছে। — রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন-এর সাহায্য নিয়ে লেখা